এই ব্লগটি সন্ধান করুন
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০
১ জিবি (GB) সমান ১০০০ বা ১০৫০ এমবি (MB) না হয়ে ১০২৪ এমবি (MB) হলো কেন?
রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০
হাজার'-এর ইংরেজি 'থাউস্যান্ড', কিন্তু হাজারকে সংক্ষেপে 'T' না বলে 'K' কেন বলা হয়?
এটি মেট্রিক পদ্ধতির সংক্ষিপ্তকরণ। আসল শব্দটি হলো একটি গ্রীক শব্দ, কিলো যার অর্থ হলো হাজার। মেট্রিক পদ্ধতিতে কিলো ব্যবহার করা হয়: এক কিলোগ্রাম বা 1k গ্রাম অর্থাৎ এক হাজার গ্রাম। সেই একই ধারণা থেকে K অক্ষরটি তুলে নেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র ইউনিট বা একক বদল করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
5k গ্রাম মানে 5000 গ্রাম, তেমনি
5k টাকা মানে 5000 টাকা।
5k বাইট মানে 5000 বাইট।
শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০
"স্টকহোম সিনড্রোম" কী?
এটি একটি ব্যাংক।
নাম : ক্রেডিটব্যাংকেন।
অবস্থান : স্টকহোম, সুইডেন।
ঘটনাটি 1973 এর। এই ক্রেডিটব্যাংকেন ব্যাংকে ডাকাতি হয়। ব্যাংক ডাকাতির সময়ে ডাকাতরা চারজন সাধারণ লোককে(সিভিলিয়ান) জোর করে বন্দি করে রাখে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, যখন ওদের ছেড়ে দেওয়া হয় তখন তাদের মধ্যে কেউই ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোর্টে স্বাক্ষী দিতে রাজি হয় নি। এর কারণটা কিন্তু, 'পরে ডাকাতরা ক্ষতি করতে পারে' সেই ভয় ছিলো না বরং কারণটা যেটা ছিলো সেটা হলো, ডাকাতদের প্রতি সমবেদনা বা ভালোবাসা।
ডাকাত বা সাধারণ অর্থে কিডন্যাপারদের প্রতি বন্দিদের ঘৃণা বা ভয়ের মনোভাব থাকবে এটাই আশা করা হয় বা হতো। কিন্তু সেই সেদিনের ঘটনার পরে মানুষের মনের এক আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের কথা সবার সামনে এসে পড়ে।
কিডন্যাপারদের প্রতি রাগ ও ঘৃণার পরিবর্তে এই যে এক ভালোবাসা বা সমবেদনামূলক একটা নিদর্শন - এই অস্বাভাবিক মানুষের বৈশিষ্ট্যকে সেকালের মিডিয়া ও পত্রিকাতে স্টকহোম সিন্ড্রোম নামে রিপোর্ট ও আলোচনা করে।
তবে এ ব্যাপারে নানা মুনির নানা মত আছে। অনেক মনোবিজ্ঞানি এটাকে কোনো ধরণের সিন্ড্রোম বলতে নারাজ। তাই* *এই সিন্ড্রোমটি এখনো Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders পাবলিকেশনে(যেখানে সমস্ত রকমের মানসিক বিকার ও লক্ষণ নথিভুক্ত করা হয়) জায়গা পায় নি।
যাই হোক, অনেক মুভিতে কিন্তু এই স্টকহোম সিন্ড্রোমের উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়।
ইরফান খানের মাদারী, রানদীপ হুডা আর আলিয়া ভাটের হাইওয়ে ছাড়াও আরও অনেক হিন্দি মুভি আছে। হলিউডেও অনেক মুভি আছে তার মধ্যে The Beauty and the Beast অন্যতম।
বাংলাতে এধরনের মুভি আছে কিনা জানা নেই। কারো জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
তথ্যসূত্রঃ Stockholm syndrome
শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০
স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাইমার দিয়ে বন্ধ করুন কম্পিউটার
ধরুন আপনার কম্পিউটারে আপনি একটা একটা প্রিয় মুভি বা গেইম ডাউনলোড দিয়েছেন। ২০ মিনিট লাগবে সেটি শেষ হতে। কিন্তু আপনাকে এক্ষুনি বেরুতে হবে কয়েক ঘণ্টার জন্যে। আপনি চান ডাউনলোড শেষ হওয়ার পরেই যেন আপনার কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায়। কী করে করবেন? জেনে নিন এখানে ।
কম্পিউটারের স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে cmd বা Command Prompt টাইপ করুন। একটি অ্যাপ্লিকেশন আসবে যাকে আমরা কমান্ড প্রম্প্ট বলি। (এখান থেকে কমান্ড প্রম্প্ট খুঁজে না পেলে, "C:\Windows\System32" ফোল্ডারে যান, সেখানে cmd/cmd.exe নামক অ্যাপ্লিকেশনটি থাকবে।)
এটি খুলে গেলে টাইপ করুন:
Shutdown /s /f /t 3600
- /s হলো Shutdown এর জন্যে। কম্পিউটার Restart করতে চাইলে /s এর পরিবর্তে /r দিতে হবে।
- /f দেওয়া হয় Force Shutdown এর জন্যে। অর্থাৎ কোনো অ্যাপ্লিকেশন খোলা থাকলে জোর করে সেগুলো বন্ধ করে কম্পিউটার নিজে বন্ধ হয়ে যাবে।
- /t হলো টাইম। যত সেকেন্ড পর আপনি বন্ধ করতে চান। এখানে 3600 সেকেন্ড দেওয়া আছে, মানে এক ঘন্টা। প্রয়োজন মতো আপনি এই সময়টি পরিবর্তন করতে পারেন।
Shutdown /s /f /t 3600 এই কমান্ডটি দেওয়া হলে, সেই কমান্ড প্রম্প্ট অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে একটি মেসেজ আসবে :
Shutdown হওয়ার আগে যদি আপনার কোনো কাজ থাকে তাহলে এই মেসেজটি 'Close' করুন এবং কাজ করতে থাকুন। অথবা ছেড়ে দিন। এক ঘন্টা পরে আপনার কম্পিউটার নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।
কমান্ড প্রম্প্ট খোলার আরো কয়েকটি উপায় : 5 Ways to Open Command Prompt in Administrator Mode in Windows 10/8/7 | Working June 2019
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০
মাথার চুলের ৬ নম্বর ব্যবহারটি আপনিও জানেন না
"চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা" বলে গেছেন জীবনানন্দ দাশ, তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'বনলতা'য়। আজকে তার কথা বলবো না। আজকে বলবো ফেরিওয়ালারা কেন চুল কিনে নিয়ে যায়। এই কেনা চুল কোন কোম্পানি কিনে নেয়, কেনই বা কিনে নেয়? ছেঁড়া চুল দিয়ে কী কী তৈরী হতে পারে। আমরা এক এক করে দেখে নেবো আজকের আলোচনায়।
মাথার চুল অনেক কাজে লাগে। কিছু কিছু ব্যবহার একদম কাল্পনার বাইরে।
- মাথার চুলের যে ব্যবহার প্রথমেই মাথায় আসে সেটা হল পরচুলা বা Wig বানানো। সিনেমা থিয়েটার এমনকি চুল ঝরা সমস্যার সাথে লড়াই করতে পরচুলার ব্যবহার অনস্বীকার্য।
- কস্মেটিক্স বা মেইকআপ শিল্পেও এই চুল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোনো প্রোডাক্ট তৈরী হওয়ার পরে তার টেস্টিং করার জন্যে সত্যিকারের চুলের দরকার হয়ে পড়ে। ১০০ গ্রাম চুলের দাম কোয়ালিটি অনুসারে দুই হাজার থেকে দশ হাজারের বেশি পর্যন্ত হতে পারে।
- SmartGrow নামের একটা কোম্পানি গার্ডেনিং প্রোডাক্ট তৈরী করার জন্যে ভারত ও চীন থেকে মানুষের চুল আমদানি করে। চুল দিয়ে বিনুনি করে এক জাতীয় ম্যাট তৈরী করা হয় যেটা গাছের মূলকে পোকার হাত থেকে রক্ষা করে এবং সাথে সাথে সারের কাজ করে।
- প্রায় দুই দশক আগে থেকে নাসা এবং কয়েকটি সংস্থা মানুষের চুল নিয়ে গবেষণা করছে, উপচে পড়া তেল মোছার কাজে ব্যবহার করার জন্যে। বলা হয়, মানুষের চুল এটির ওজনের নয় থেকে দশ গুণ তেল শোষণ করে নিতে পারে।
- ড্রেস ডিজাইনকারীরা নতুন ড্রেস ডিজাইন করার জন্যে চুল নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করে থাকেন।
- এটি একদম আশ্চর্যের ব্যাপার। 2004 সালের আসে পাশে একটি কোম্পানি দাবি করেন যে তারা চুল দিয়ে সোয়া সস ( Soya Sauce) তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। চুলের গঠনমূলক উপাদান হলো, কেরাটিন প্রোটিন। বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সেই প্রোটিন থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরী করা যেতেই পারে। কিন্তু স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখেন নি।
মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০
ইনজেকশন দেওয়ার সময় হাওয়া ঢুকে গেলে কী সমস্যা হয়?
ইনজেকশান বা স্যালাইন নেওয়ার সময়ে ওষুধের সাথে সাথে, রক্তের মধ্যে হাওয়া, বুদবুদের আকারে ঢুকে যেতে পারে। খুব কম পরিমাণ হাওয়া ঢুকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু বড়ো আকারের হাওয়ার বুদবুদ ঢুকে গেলে, ভয়ের কারণ হতেও পারে।
এবার দেখা যাক, "বড়ো আকার" মানে কতো বড়ো। সেটাও নির্ভর করে কোন ধরণের রক্তনালীতে হাওয়া ঢুকছে।
আমাদের শরীরে সাধারণত দুই ধরণের রক্তনালী আছে।ধমনী(Artery) ও শিরা(Vein)। ধমনীর সাধারণ সংজ্ঞা হলো, যে রক্তবাহী নালী দিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তাকে ধমনী(Artery) বলে । অন্যদিকে যে রক্তবাহী নালী দিয়ে সারা শরীর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত বাহিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায়(আবার শুদ্ধ হয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ হওয়ার জন্যে) তাকে শিরা(Vein) বলে ।
শিরা আর ধমনীর গঠনগত পার্থক্যও আছে। কার্যগত এবং গঠনগত পার্থক্যের জন্যে হাওয়ার বুদবুদ ধমনী বা শিরাতে প্রবেশ করলে আলাদা আলাদা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এবার ধরা যাক হাওয়ার বুদবুদের আকার "খুব" বড়ো। মানে বুদবুদটি রক্তবাহী নালী রুদ্ধ বা ব্লক করে দিতে পারে, যেটা কখনোই কাম্য নয়। নিচের ছবিটা লক্ষ্য করুন।
দেখে আন্দাজ করাই যায়, বুদবুদ যদি এতটাই বড়ো হয়, যেটা সাধারণ রক্ত চলাচল ব্যাহত করে তাহলে সেটা প্রাণঘাতি হতেও পারে। আর এই বুদবুদের কারণে রক্তবাহ বন্ধ হওয়ার ঘটনা কে মেডিকেল টার্মে Air Embolism বা Gas Embolism বলা হয়।
যদি বুদবুদের আকার ছোটো হয় তাহলে বুদবুদ পুরো রক্তনালী( শিরা হোক বা ধমনী) বন্ধ করতে পারেনা, এবং কোনো সমস্যা হওয়ার কথাও না।
এখানে আরেকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার। শিরা বা ধমনীর ভেতরের ব্যাস শরীরের একেক জায়গায় একেক রকম।
মানে বুদবুদ শরীরের এক অংশে "ছোটো" হলেও হয়তো অন্য অংশে গিয়ে সেখানে ব্লকেজ করতে পারে। সে ক্ষেত্রেও embolism ঘটতে পারে।
তাহলে কি Embolism হলেই মৃত্যু অনিবার্য?
এর ছোটো উত্তর হলো, "না"। বড়ো উত্তর এরকম।
ধরা যাক, হাতের নালীতে ইনজেকশন দেওয়ার সময় "বড়ো" আকারের বুদবুদ চলে গেলো রক্তের মধ্যে, এবং সেটা হাতের মধ্যেই Embolism সৃষ্টি করলো। মানে হাতের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলো। আপনি কি মরে যাবেন? কখনোই না, হয় তো হাত অসাড় হয়ে যাবে কিছুক্ষণের জন্যে। হাওয়ার বুদবুদ বের করে নিলেই আবার হাত সুস্থ হয়ে যাবে।
এবার ধরা যাক, কোনোভাবে এই বুদবুদ শরীরের সেই অঙ্গগুলোতে পৌঁছলো যেখানে এক মিনিটের জন্যে রক্ত না গেলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। যেমন ধরা যাক, মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড বা কিডনি। যেহেতু এই সমস্ত অঙ্গগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তাই এগুলোতে Air বা Gas Embolism হলে মানুষের মৃত্যু ঘটতেই পারে।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের রক্তসংহনতন্ত্রের মধ্যে দুই-তিন মিলিলিটার আকারের হাওয়ার বুদবুদ প্রাণঘাতি হতে পারে। ফুসফুসীয় শিরাতে 0.৫ থেকে এক মিলি মিললিটার আকারের হাওয়ার বুদবুদ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে, যেটা মৃত্যুর কারণ ও হতে পারে।
বুদবুদের আকারের ধারণা দেওয়ার জন্যে উপরে একটি অতি প্রচলিত ৩ মিলিলিটার সিরিঞ্জের ছবি দেওয়া হলো।
সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা ৫৭ ভাগ হাড়ের সার্জন (Orthopedic surgeon) ছোটো বা বড়ো Air Embolism এর ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। যারা স্কুবা ডাইভিং করে থাকেন, তাদের মধ্যে এই Air বা Gas Embolism এর ঘটনা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
এই ধরণের আরও অনেক কিছু জানতে পড়তে থাকুন আমাদের ব্লগ সহজ পাঠ ।
99.99 শতাংশ জানেন না WhatsApp-এর এই ফিচারটির ব্যাপারে
সকলেই WhatsApp ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনিও হয়তো WhatsApp-এর এই দারুণ ফিচার বা সুবিধার কথা এখনো জানেন না।
কোন ফিচারটির কথা বলছি? জেনে নিন এখানে।
আপনি ভাবছেন, এই অতি পরিচিত WhatsApp অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারে নতুন কিছু জানার নেই?
দাঁড়াও পথিকবর,
জন্ম যদি তব বঙ্গে তিষ্ঠ ক্ষণকাল।
অনেকে আছেন যারা WhatsApp এ মেসেজ টাইপ না করে রেকর্ডিং পাঠিয়ে দেন। ধরুণ, আপনি অনেকের সামনে বসে আছেন, বা মিটিং এ আছেন, বা এমন পরিবেশে যেখানে জোরে অডিও বাজিয়ে শুনতে পারবেন না এবং দূর্ভাগ্যবশত আপনার কাছে ইয়ারফোন বা হেডফোনও নেই।
কী করণীয়? তৎক্ষণাৎ শুনবেন না? নাকি পরে শুনবেন।
সেই যুগের ইতি অনেককাল আগেই হয়েছে।
আপনাকে যা করতে হবে তা হলো,
১. রেকর্ডিং বা অডিও ফাইলটি ডাউনলোড করুন।অডিও মেসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গেই WhatsApp এর মধ্যে নিজে থেকেই ডাউনলোড হয়ে যায়।
২. ডাউনলোড হয়ে গেলে, প্লে (▶) বাটনে ক্লিক করে সঙ্গে সঙ্গে কানে ধরুন(ফোনে কথা বললে যেভাবে ফোন কানের কাছে ধরতে হয়)। এরকম করলে অডিও বা রেকর্ডিং মেসেজ Loud Speaker-এ না বেজে ফোনকলের ডিফল্ট Speaker-এ বাজবে যেটা শুধু আপনিই শুনতে পাবেন।
সময়ে অসময়ে এই সুবিধাটি অনেক কাজে লাগবে।
আরো কিছু জানতে চান? পড়তে থাকুন আমাদের ব্লগ sohojpaath.blogspot.com।
সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০
APK বা APP এর মধ্যে তফাৎ কী?
ছোটো উত্তরঃ
App হলো একটি পরিভাষা, যা দিয়ে সমস্ত ধরণের ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনকে বোঝানো হয়। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন যেমন গুগল ক্রোম, ফটোশপ, পিকাসা, পেইন্ট বা হোয়াট্সঅ্যাপ তেমনি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন হোয়াট্সঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, কোরা - সবগুলোকে সাধারণভাবে অ্যাপ্লিকেশন বা সংক্ষেপে অ্যাপ বলা হয়।
এখন এই অ্যাপ গুলো যখন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্যে ব্যবহার করা হয় তখন .exe ফাইলের দরকার পড়ে তেমনি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যে .apk ফাইলের দরকার পড়ে।
বড়ো উত্তরঃ
App(Application)
'অ্যাপ' কোনো নতুন শব্দ নয় আমাদের কাছে, তা সত্ত্বেও অনেকে কিন্তু এই জানেন না, আসলে এটি কী? অ্যাপ শব্দটি হলো যেটি অ্যাপ্লিকেশনের সংক্ষিপ্তকরণ যা দিয়ে মোবাইলের জন্যে নির্মাণ করা হয়ে থাকে।
অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক স্মার্ট ফোনের অপারেটিং সিস্টেম যখন আজকের দিনের মতো খ্যাতি অর্জন করেনি, তখন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সফটওয়ার দিয়ে আমাদের সমস্ত রকমের ডিজিটাল কাজ করতে হতো। সময় এগিয়ে গেছে এবং ধীরে ধীরে মানুষের হাতের মুঠোতে মুঠোফোন এসে জুটেছে। আসতে আসতে মোবাইলের ব্যবহার কম্পিউটারের ব্যবহারকে ছাড়িয়ে গেছে।
যাই হোক, এই স্মার্টফোনে বা অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব বা টিভিতে অ্যাপ্লিকেশন গুলো ইন্সটল করা হয়ে থাকে যাদের মাধ্যমে আমরা সবকিছু নখদর্পনে এসে গেছে। কেনাকাটা, ব্যাংকের হিসেবপত্র, অনলাইন ওয়ালেট বা ই-ওয়ালেট, মুভি দেখা বা ডাউনলোড করা সবকিছু এখন খুব সহজেই মুহূর্তের মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন বা সংক্ষেপে অ্যাপ থেকে নিয়ন্ত্রন করা যায়।
অন্য কথায়, অ্যাপ হলো পূর্ব প্রচলিত কম্পিউটার সফটওয়ারের দ্বিতীয় সংস্করণ যা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, মূলত অ্যান্ড্রয়েডের জন্যে তৈরী করা হয়েছে।
APK(Android Application Package)
APK হলো গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রে(মোবাইল, টিভি, ট্যাব) ইন্সটলযোগ্য ফাইল ফরম্যাট। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম শুধুমাত্র APK ফাইল টাইপ সাপোর্ট করে, ইন্সটল করার জন্যে। APK-এর পুরো নাম: অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ এবং এটি একটি extention মাত্র। এই প্যাকেজের মধ্যে থাকে বিভিন্ন ছোটো ফাইল যেমন: সোর্স কোড, অ্যাপ্লিকেশনের আইকন, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি। প্রত্যেকটা APK ফাইলের সাথে একটি স্বতন্ত্র 'Security key' থাকে যেটি একটি অ্যাপ্লিকেশন থেকে আরেকটি অ্যাপ্লিকেশনকে আলাদা করে রাখে। সাধারণত গুগল প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ ইন্সটল করা হয়।
.Pdf(পিডিএফ ফাইলের extention) বা .docx(MS ওয়ার্ডের extension) বা .txt(notepad এর ফাইলের extension) বা .jpeg/jpg/png(ছবির extension) এর মতো .apk হলো অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রে(মোবাইল, টিভি, ট্যাব) ইন্সটলযোগ্য ফাইলের extension। এটি সাধারণত ফাইলের নামের পরে যুক্ত করা হয়।
সুতরাং, ইন্সটল করার সময় যে ফাইল ডাউনলোড থাকে, সেটির ফরম্যাট বা extention হলো .apk।
App আর APK কি তাহলে আলাদা?
এর কোনো ছোটো উত্তর নেই। দুটো আলাদা আলাদা ধারণা। App হলো একটি সাধারণ পরিভাষা, একটি বড়ো ছাতা। APK হলো সেই বড়ো ছাতার অন্তর্গত এক ধরণের অ্যাপ্লিকেশনের ফরম্যাট যা শুধু মাত্র অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করবে। কম্পিউটারের সফটওয়ারের extension-এর ফরম্যাট .exe, অ্যাপেল বা iOS অপারেটিং সিস্টেমের ফাইলের extension যেমন .ipa ইত্যাদি।
APK ফাইল গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হলে সেখানে জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন বা সাইন ইন করতে হবে। প্লেস্টোর ছাড়াও গুগল সার্চ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অধিকাংশই অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যেতে পারে। তবে সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা প্লেস্টোরের থেকে অনেক কম।
যেহেতু .apk ফাইল বাইরে থেকে দেখে আসল-নকল বোঝার কোনো উপায় নেই, তাই কোনো বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট বা উৎস থেকেই কোনও অ্যাপ ডাউনলোড ও ইন্সটল করা উচিত।
শেষ কথা
আগেই বলা হয়েছে, দিন দিন মোবাইলের ব্যবহার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়ে চলেছে, সেই সাথে প্রত্যেক দিন নতুন নতুন অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ্লিকেশন বা .apk ফাইলও তৈরী হচ্ছে।
যাই হোক, আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা পাঠকদের বোঝাতে পেরেছি App আর APK এর মধ্যে পার্থক্য কী?
আমরা কি কিছু মিস করেছি? আরো কিছু জানার ছিলো? তাড়াতাড়ি কমেন্ট করুন নীচে। আমরা হাজির হবো আপনার জিজ্ঞাসার উত্তর নিয়ে।
Featured Post
ব্রয়লার মুরগি কীভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তর: এটি একপ্রকার সংকর জাতের মুরগি। করনিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে সাদা প্লিমাউথ রক জাতের স্ত্রী মুরগির মিলনে ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়...

Popular Posts
-
তড়িৎ প্রবাহমাত্রা (Electric Current) তড়িৎচালক বলের প্রভাবে কোনাে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে রক্ত ইলেকট্রনের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহই হল তড়িৎপ্রবাহ।...
-
উত্তর: থার্মোফ্লাস্ক (Thermoflask) একটি যন্ত্রব্যবস্থা, যার দ্বারা কোনো তরল পদার্থের উষ্ণতা দীর্ঘসময়ের জন্য অপরিবর্তিত রাখা যায়। বিশেষভাব...
-
উত্তর: বিকিরণ (Radiation): যে পদ্ধতিতে জড় মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই বা মাধ্যম থাকলেও সেই মাধ্যমকে উত্তপ্ত না করে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গরূপে এক ...