কোশপর্দা বা প্লাজমালেমাঃ সমস্ত সজীব কোষে প্রােটোপ্লাজমের বাইরে যে পাতলা, স্থিতিস্থাপক, প্রভেদক ভেদ্য, লাইপােপ্রােটিন নির্মিত সজীব আবরণ বর্তমান, তাকে কোষপর্দা বলে।
কোশপর্দার গঠনঃ
1. বিজ্ঞানী ডাভসন ও ড্যানিয়েলি (1935) এর মতে কোশপর্দার গঠন প্রােটিন-লিপিড-প্রােটিন নির্মিত ত্রিস্তর বিশিষ্ট।
2. এই স্যান্ডউইচ মডেল অনুযায়ী কোষ পর্দা গড়ে প্রায় 75A০ পুরু, যার মাঝের লিপিড স্তরটি 35A০ এবং এর দুদিকে প্রতিটি প্রােটিন স্তরের পুরুত্ব প্রায় 20-25A০ ।
3. পরবর্তীকালে বিজ্ঞানী রবার্টসন (1959) কোশপর্দার এরূপ গঠন সমস্ত সজীব কোশ ও কোশীয় অঙ্গাণুর ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করেন বলে একে একক পর্দা রূপে অভিহিত করেন।
4. বিজ্ঞানী সিঙ্গার ও নিকলসন (1972) কোশপর্দার গঠনকে ফ্লুইড মােজেইক মডেল রুপে বর্ণনা করেন। তাদের মতে কোশপর্দার মাঝখানে থাকে দ্বিস্তরীয় ফসফোলিপিড স্তর এবং লিপিড স্তরের মধ্যে মােজেইক দানার মতাে অন্তঃস্থ প্রোটিন ও বহিস্থ প্রােটিনগুলি প্রােথিত থাকে। কোশপর্দার এই গঠনটি বর্তমানে সর্বজনগৃহীত হয়েছে।
কোশপর্দার কাজঃ
কোশপর্দার কাজগুলি হল-
1. আকৃতি প্রদান : কোষের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদানে (প্রধানত প্রাণী কোষ) সাহায্য করে।
2. সুরক্ষা দান : কোশের সজীব প্রােটোপ্লাজমকে বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা করে।
3. পদার্থের বিনিময় : কোষ পর্দা প্রভেদক ভেদ্য পর্দা রূপে পরিবেশ ও কোষের মধ্যে প্রয়ােজনীয় পদার্থের বিনিময়ে অংশগ্রহণ করে।
4. ফ্যাগোসাইটোসিস ও পিনােসাইটোসিস : কোশপর্দা ফ্যা-গোসাইটোসিস পদ্ধতিতে বাইরের পরিবেশ থেকে কঠিন পদার্থ ভক্ষণ ও পিনােসাইটোসিস পদ্ধতিতে তরল পদার্থ গ্রহণে অংশ নেয়।
5. ভৌত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ : ব্যাপন, অভিস্রবণ, সক্রিয় পরিবহণে সাহায্য করে।
Good answers with pictures 😃👍
উত্তরমুছুনgood information. 👍
উত্তরমুছুন