এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

কোশপর্দা (Plasma membrane) কী বা কাকে বলে ? কোশপর্দার গঠন সংক্ষেপে বর্ণনা করাে।

কোশপর্দা বা প্লাজমালেমাঃ সমস্ত সজীব কোষে প্রােটোপ্লাজমের বাইরে যে পাতলা, স্থিতিস্থাপক, প্রভেদক ভেদ্য, লাইপােপ্রােটিন নির্মিত সজীব আবরণ বর্তমান, তাকে কোষপর্দা বলে।

কোশপর্দার গঠনঃ

1. বিজ্ঞানী ডাভসন ও ড্যানিয়েলি (1935) এর মতে কোশপর্দার গঠন প্রােটিন-লিপিড-প্রােটিন নির্মিত ত্রিস্তর বিশিষ্ট।

2. এই স্যান্ডউইচ মডেল অনুযায়ী কোষ পর্দা গড়ে প্রায় 75A০ পুরু, যার মাঝের লিপিড স্তরটি 35A এবং এর দুদিকে প্রতিটি প্রােটিন স্তরের পুরুত্ব প্রায় 20-25A

3. পরবর্তীকালে বিজ্ঞানী রবার্টসন (1959) কোশপর্দার এরূপ গঠন সমস্ত সজীব কোশ ও কোশীয় অঙ্গাণুর ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করেন বলে একে একক পর্দা রূপে অভিহিত করেন।

4.  বিজ্ঞানী সিঙ্গার ও নিকলসন (1972) কোশপর্দার গঠনকে ফ্লুইড মােজেইক মডেল রুপে বর্ণনা করেন। তাদের মতে কোশপর্দার মাঝখানে থাকে দ্বিস্তরীয় ফসফোলিপিড স্তর এবং লিপিড স্তরের মধ্যে মােজেইক দানার মতাে অন্তঃস্থ প্রোটিন ও বহিস্থ প্রােটিনগুলি প্রােথিত থাকে। কোশপর্দার এই গঠনটি বর্তমানে সর্বজনগৃহীত হয়েছে।

কোশপর্দা (Plasma membrane)

কোশপর্দার কাজঃ

কোশপর্দার কাজগুলি হল-

1. আকৃতি প্রদান : কোষের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদানে (প্রধানত প্রাণী কোষ) সাহায্য করে।

2. সুরক্ষা দান : কোশের সজীব প্রােটোপ্লাজমকে বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা করে।

3. পদার্থের বিনিময় : কোষ পর্দা প্রভেদক ভেদ্য পর্দা রূপে পরিবেশ ও কোষের মধ্যে প্রয়ােজনীয় পদার্থের বিনিময়ে অংশগ্রহণ করে।

4. ফ্যাগোসাইটোসিস ও পিনােসাইটোসিস : কোশপর্দা ফ্যা-গোসাইটোসিস পদ্ধতিতে বাইরের পরিবেশ থেকে কঠিন পদার্থ ভক্ষণ ও পিনােসাইটোসিস পদ্ধতিতে তরল পদার্থ গ্রহণে অংশ নেয়।

5. ভৌত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ : ব্যাপন, অভিস্রবণ, সক্রিয় পরিবহণে সাহায্য করে।

২টি মন্তব্য:

Featured Post

ব্রয়লার মুরগি কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর:  এটি একপ্রকার সংকর জাতের মুরগি। করনিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে সাদা প্লিমাউথ রক জাতের স্ত্রী মুরগির মিলনে ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়...

Popular Posts