এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

শাঁকালু বা শাক আলু বা শাখ আলু কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করবেন?

অর্থকরী কন্দ ফসল হিসাবে শাঁকালু ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের উস্থাবনের ফলে উৎপাদন যথেষ্ট বেড়েছে। ফলে চাষের আয় বেশ বাড়ছে চাহিদার সাথে সাথে।

 জাত: উচ্চ ফলনশীল জাত আর. এন , এল-১৯, এছাড়া দেশী জাতের চাষ হয়।

মেয়াদ: ১২০ দিন।

বোনার সময়: সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ।

জমি ও মাটি: উঁচু মাঝারি জমি দোঁয়াশ, বেলে-দোঁয়াশ মাটি পছন্দ। এটেল মাটিতেও ভালাে হয়। নােনা সহ্য করতে পারে।

সেচ: নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে মাটি অনুযায়ী সেচ দেওয়া দরকার।

সারি/গাছের দুরত্ব: সারির দূরত্ব ৩০ সেমি বা ফুট এবং সারিতে গাছের দূরত্ব ১৫ সেমি বা ইঞ্চি রাখা হয়। -.২৫ কেজি প্রতি বিঘায় (২০-২২ কেজি প্রতি হেক্টরে) বীজ লাগে।

সার: জৈব সার বিঘা প্রতি ১২০০-১৫০০ কেজি (১০ থেকে ১৫ টন হেক্টরে) সঙ্গে বিঘা প্রতি -১০ কেজি রাসায়নিক যৌগ সার (১০:২৬:২৬) দেওয়া যেতে পারে। 

উৎপাদন: বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ কুইন্টাল উৎপাদন হয়। উত্তর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়া ব্লক এলাকায় জমিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দেশী জাতের শাঁকালু কাঠা প্রতি ১০০ কেজি পর্যন্ত উৎপন্ন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল (আর এন -, এল-১৯ ইত্যাদি) বিঘা প্রতি ৪০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন দিয়েছে। বােলপুবের আশপাশের গ্রামগুলিতে এর চাষ বাড়ছে। কাঠা প্রতি প্রায় মন অর্থাৎ ২৪০ কেজি (বিঘায় ৮কুইন্টাল) ফলছে।

রোগপকা: রােগের মধ্যে কান্ড বা কন্দ পচা (সফট রট) পাতা ধ্বসা রােগ দেখা যায়। এরােগ দেখা দেওয়া মাত্র ১০-১২ দিন অন্তর টাটকা গােবরের নির্য্যাস - বার স্প্রে করলে নিরাময় হয়। এছাড়া বিঘাপ্রতি ৩০০ গ্রাম টাইকোডারমা ভিরিডি নামে জীবাণুনাশক জৈবসারের সাথে মিশিয়ে শেষ চাষে মাটিতে মিশালে নিরাময় হয়।

মন্তব্য: শিল্পগােত্রীয় ফসল, কিন্তু শিকড়ে গুটি হয় না। জলনিকাশী ভাল থাকা দরকার। বীজ লাগানাের - দিনের মধ্যে অনুর বের হয়। ফুল আসার সময় পুস্প মঞ্জরী ভেঙ্গে দিতে হয়। অন্যথায় কন্দ উৎপাদন কমে যায়। বীজ বিষাক্ত। কাঁচা পাকা অবস্থায় বীজ খাওয়া নিষিদ্ধ। বীজ কীটনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কেশর আলু, শাখালু, শাখা আলু, শাক আলু, শাকালু


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি কাজ লেখো

হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি কাজ লেখো। হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ (i) দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি : সোমাটোট্রফিক হরমোন, থাইরক্সিন প্রভৃতির সক্রিয...

Popular Posts