অর্থকরী কন্দ ফসল হিসাবে শাঁকালু ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের উস্থাবনের ফলে উৎপাদন যথেষ্ট বেড়েছে। ফলে চাষের আয় বেশ বাড়ছে চাহিদার সাথে সাথে।
মেয়াদ: ১২০ দিন।
বোনার সময়: সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ।
জমি ও মাটি: উঁচু ও মাঝারি জমি দোঁয়াশ, বেলে-দোঁয়াশ মাটি পছন্দ। এটেল মাটিতেও ভালাে হয়। নােনা সহ্য করতে পারে।
সেচ: নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে মাটি অনুযায়ী সেচ দেওয়া দরকার।
সারি/গাছের দুরত্ব: সারির দূরত্ব ৩০ সেমি বা ১ ফুট এবং সারিতে গাছের দূরত্ব ১৫ সেমি বা ৬ ইঞ্চি রাখা হয়। ৩-৩.২৫ কেজি প্রতি বিঘায় (২০-২২ কেজি প্রতি হেক্টরে) বীজ লাগে।
সার: জৈব সার বিঘা প্রতি ১২০০-১৫০০ কেজি (১০ থেকে ১৫ টন হেক্টরে) সঙ্গে বিঘা প্রতি ৮-১০ কেজি রাসায়নিক যৌগ সার (১০:২৬:২৬) দেওয়া যেতে পারে।
উৎপাদন: বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ কুইন্টাল উৎপাদন হয়। উত্তর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়া ব্লক এলাকায় জমিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দেশী জাতের শাঁকালু কাঠা প্রতি ১০০ কেজি পর্যন্ত উৎপন্ন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল (আর এন -১, এল-১৯ ইত্যাদি) বিঘা প্রতি ৪০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন দিয়েছে। বােলপুবের আশপাশের গ্রামগুলিতে এর চাষ বাড়ছে। কাঠা প্রতি প্রায় ৬ মন অর্থাৎ ২৪০ কেজি (বিঘায় ৮কুইন্টাল) ফলছে।
রোগপকা: রােগের মধ্যে কান্ড বা কন্দ পচা (সফট রট) ও পাতা ধ্বসা রােগ দেখা যায়। এরােগ দেখা দেওয়া মাত্র ১০-১২ দিন অন্তর টাটকা গােবরের নির্য্যাস ৩-৪ বার স্প্রে করলে নিরাময় হয়। এছাড়া বিঘাপ্রতি ৩০০ গ্রাম টাইকোডারমা ভিরিডি নামে জীবাণুনাশক জৈবসারের সাথে মিশিয়ে শেষ চাষে মাটিতে মিশালে নিরাময় হয়।
মন্তব্য: শিল্পগােত্রীয় ফসল, কিন্তু শিকড়ে গুটি হয় না। জলনিকাশী ভাল থাকা দরকার। বীজ লাগানাের ৭-৮ দিনের মধ্যে অনুর বের হয়। ফুল আসার সময় পুস্প মঞ্জরী ভেঙ্গে দিতে হয়। অন্যথায় কন্দ উৎপাদন কমে যায়। বীজ বিষাক্ত। কাঁচা ও পাকা অবস্থায় বীজ খাওয়া নিষিদ্ধ। বীজ কীটনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন