এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

ওল বা ওলকচু কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করবেন?

কন্দ ফসলের মধ্যে ওল পুষ্টিকর অর্থকরী ফসল হিসাবে আলুর পরেই স্থান দখল করেছে। যেভাবে এর চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে- অচিরেই অবহেলিতফসল হিসাবে একে আর গণ্য করা যাবেনা। 'ফেমিন ফুড' অথবা দুর্ভিক্ষের খাবার হিসাবে মর্যাদায় ওল শ্রেষ্ঠ।

জাত: কাভুর , সি-, সি-, দক্ষিণ ভারতের উন্নত জাত। স্থানীয় ভালাে জাত সাঁতরাগাছি।

মেয়াদ:  মাস।

বোনার সময়: চৈত্র-বৈশাখ (এপ্রিল -মে) রাজ্যের শুকনাে পশ্চিমাঞ্চলে যেমন পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান মালদহ জেলার ঝাড়খন্ড সংলগ্ন শুকনাে ব্লকগুলিতে জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রথম বৃষ্টির সাথে সাথে লাগানাে ভাল।

জমি মাটি: উঁচু জমি বেলে দোঁয়াশ মাটিতেও ভাল হয়। জলনিকাশি ব্যবস্থা ভালাে থাকা দরকার।

সেচ: এপ্রিল মাসে লাগালে বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত ১০ দিন অন্তর হালকা সেচ দেওয়া ভাল।

সারি গাছের দূরত্ব: সারি গাছের দূরত্ব ৭৫ সেমি বা . ফুট। মাদা করে লাগাতে হবে। গর্তের মাপ -. ঘন ফুট। অর্থাৎ ১৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, প্রস্থ গভীর গর্ত করে কাটা মাটির অর্ধেক পরিমাণ জৈব সার দিয়ে মাদার মাটি তৈরি করতে হয়।

বীজের হার: প্রতি গর্তে ৫০০-৭০০ গ্রাম বীজ ওল বসাতে হবে। বীজের হার ৬০-৬২ কুইন্টাল প্রতি হেক্টরে বা ৮০০-১০০০ কেজি প্রতি বিঘায়।

সার: জৈব সার বেশি করে দিতে হবে। প্রতিটি গর্তে ২২.৫ কেজি গােবর সার, ২০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫ গ্রাম সুপার ফসফেট, ১৫ গ্রাম পটাশ সার দিলে ভাল হয়।

সাথি ফসল: ঢেড়শ, বরবটি, লাল শাক, অড়হর ইত্যাদি।

 উৎপাদন: ৫৫-৬৫ কুইন্টাল প্রতি বিঘায়। ৪০০-৫০০ কুইন্টাল প্রতি হেক্টরে।

রোগপোকা: রােগের মধ্যে কন্দ পচা (সফট্ রট) পাতা ধ্বসা রােগ সাধারণত দেখা যায়। এরােগ দেখা দেওয়া মাত্র ১০-১২ দিন অন্তর টাটকা গোবরের নির্ধ্যাস - বার স্প্রে করলে নিরাময় হয়। এছাড়া বিঘাপ্রতি ৩০০ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি নামক জীবাণুনাশক জৈবসারের সাথে মিশিয়ে শেষ চাষে মাটিতে মিশালে নিরাময় হয়।

মন্তব্য: পরিচর্যা খুব কম লাগে। ৬০-৮০ দিন পর ওল গাছের গােড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে। বীচনের জন্য ওল চাষ করলে ১৫০ গ্রাম কাটা ওল গােবর জলে ডুবিয়ে ফুট অন্তর লাগাতে হবে। ওলের সজাগ বাড়স্ত অগ্রমুকূল (চোখ) যেন প্রতি কাটা অংশে -২টি থাকে। - ইঞ্চির বেশী গভীরে বীচন লাগালে ফলন কমে যায়। দুই সারি ওলের মাঝে এক সারি অডহর, বরবটি, ঢেড়শ লাল শাক সাথি ফসল হিসাবে চাষ করে বাড়তি ফলন পাওয়া যায়। বীচন ওল লাগানাের পর খড় বা শুকনাে পাতা দিয়ে আচ্ছাদন দেওয়া ভালাে। জলনিকাশি ব্যবস্থা ভালাে থাকা দরকার।

ওল বা ওলকচু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি কাজ লেখো

হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি কাজ লেখো। হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ (i) দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি : সোমাটোট্রফিক হরমোন, থাইরক্সিন প্রভৃতির সক্রিয...

Popular Posts