এটি একটি ব্যাংক।
নাম : ক্রেডিটব্যাংকেন।
অবস্থান : স্টকহোম, সুইডেন।
ঘটনাটি 1973 এর। এই ক্রেডিটব্যাংকেন ব্যাংকে ডাকাতি হয়। ব্যাংক ডাকাতির সময়ে ডাকাতরা চারজন সাধারণ লোককে(সিভিলিয়ান) জোর করে বন্দি করে রাখে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, যখন ওদের ছেড়ে দেওয়া হয় তখন তাদের মধ্যে কেউই ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোর্টে স্বাক্ষী দিতে রাজি হয় নি। এর কারণটা কিন্তু, 'পরে ডাকাতরা ক্ষতি করতে পারে' সেই ভয় ছিলো না বরং কারণটা যেটা ছিলো সেটা হলো, ডাকাতদের প্রতি সমবেদনা বা ভালোবাসা।
ডাকাত বা সাধারণ অর্থে কিডন্যাপারদের প্রতি বন্দিদের ঘৃণা বা ভয়ের মনোভাব থাকবে এটাই আশা করা হয় বা হতো। কিন্তু সেই সেদিনের ঘটনার পরে মানুষের মনের এক আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের কথা সবার সামনে এসে পড়ে।
কিডন্যাপারদের প্রতি রাগ ও ঘৃণার পরিবর্তে এই যে এক ভালোবাসা বা সমবেদনামূলক একটা নিদর্শন - এই অস্বাভাবিক মানুষের বৈশিষ্ট্যকে সেকালের মিডিয়া ও পত্রিকাতে স্টকহোম সিন্ড্রোম নামে রিপোর্ট ও আলোচনা করে।
তবে এ ব্যাপারে নানা মুনির নানা মত আছে। অনেক মনোবিজ্ঞানি এটাকে কোনো ধরণের সিন্ড্রোম বলতে নারাজ। তাই* *এই সিন্ড্রোমটি এখনো Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders পাবলিকেশনে(যেখানে সমস্ত রকমের মানসিক বিকার ও লক্ষণ নথিভুক্ত করা হয়) জায়গা পায় নি।
যাই হোক, অনেক মুভিতে কিন্তু এই স্টকহোম সিন্ড্রোমের উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়।
ইরফান খানের মাদারী, রানদীপ হুডা আর আলিয়া ভাটের হাইওয়ে ছাড়াও আরও অনেক হিন্দি মুভি আছে। হলিউডেও অনেক মুভি আছে তার মধ্যে The Beauty and the Beast অন্যতম।
বাংলাতে এধরনের মুভি আছে কিনা জানা নেই। কারো জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
তথ্যসূত্রঃ Stockholm syndrome
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন