এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

ইনজেকশন দেওয়ার সময় হাওয়া ঢুকে গেলে কী সমস্যা হয়?


 ইনজেকশান বা স্যালাইন নেওয়ার সময়ে ওষুধের সাথে সাথে, রক্তের মধ্যে হাওয়া, বুদবুদের আকারে ঢুকে যেতে পারে। খুব কম পরিমাণ হাওয়া ঢুকলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

কিন্তু বড়ো আকারের হাওয়ার বুদবুদ ঢুকে গেলে, ভয়ের কারণ হতেও পারে।

এবার দেখা যাক, "বড়ো আকার" মানে কতো বড়ো। সেটাও নির্ভর করে কোন ধরণের রক্তনালীতে হাওয়া ঢুকছে।

আমাদের শরীরে সাধারণত দুই ধরণের রক্তনালী আছে।ধমনী(Artery) ও শিরা(Vein)। ধমনীর সাধারণ সংজ্ঞা হলো, যে রক্তবাহী নালী দিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তাকে ধমনী(Artery) বলে । অন্যদিকে যে রক্তবাহী নালী দিয়ে সারা শরীর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত বাহিত হয়ে ফুসফুসে পৌঁছায়(আবার শুদ্ধ হয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ হওয়ার জন্যে) তাকে শিরা(Vein) বলে ।

শিরা আর ধমনীর গঠনগত পার্থক্যও আছে। কার্যগত এবং গঠনগত পার্থক্যের জন্যে হাওয়ার বুদবুদ ধমনী বা শিরাতে প্রবেশ করলে আলাদা আলাদা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এবার ধরা যাক হাওয়ার বুদবুদের আকার "খুব" বড়ো। মানে বুদবুদটি রক্তবাহী নালী রুদ্ধ বা ব্লক করে দিতে পারে, যেটা কখনোই কাম্য নয়। নিচের ছবিটা লক্ষ্য করুন।


দেখে আন্দাজ করাই যায়, বুদবুদ যদি এতটাই বড়ো হয়, যেটা সাধারণ রক্ত চলাচল ব্যাহত করে তাহলে সেটা প্রাণঘাতি হতেও পারে। আর এই বুদবুদের কারণে রক্তবাহ বন্ধ হওয়ার ঘটনা কে মেডিকেল টার্মে Air Embolism বা Gas Embolism বলা হয়।

যদি বুদবুদের আকার ছোটো হয় তাহলে বুদবুদ পুরো রক্তনালী( শিরা হোক বা ধমনী) বন্ধ করতে পারেনা, এবং কোনো সমস্যা হওয়ার কথাও না।

এখানে আরেকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার। শিরা বা ধমনীর ভেতরের ব্যাস শরীরের একেক জায়গায় একেক রকম।

মানে বুদবুদ শরীরের এক অংশে "ছোটো" হলেও হয়তো অন্য অংশে গিয়ে সেখানে ব্লকেজ করতে পারে। সে ক্ষেত্রেও embolism ঘটতে পারে।

তাহলে কি Embolism হলেই মৃত্যু অনিবার্য?

এর ছোটো উত্তর হলো, "না"। বড়ো উত্তর এরকম।

ধরা যাক, হাতের নালীতে ইনজেকশন দেওয়ার সময় "বড়ো" আকারের বুদবুদ চলে গেলো রক্তের মধ্যে, এবং সেটা হাতের মধ্যেই Embolism সৃষ্টি করলো। মানে হাতের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলো। আপনি কি মরে যাবেন? কখনোই না, হয় তো হাত অসাড় হয়ে যাবে কিছুক্ষণের জন্যে। হাওয়ার বুদবুদ বের করে নিলেই আবার হাত সুস্থ হয়ে যাবে।

Photo of Injection

এবার ধরা যাক, কোনোভাবে এই বুদবুদ শরীরের সেই অঙ্গগুলোতে পৌঁছলো যেখানে এক মিনিটের জন্যে রক্ত না গেলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। যেমন ধরা যাক, মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড বা কিডনি। যেহেতু এই সমস্ত অঙ্গগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তাই এগুলোতে Air বা Gas Embolism হলে মানুষের মৃত্যু ঘটতেই পারে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের রক্তসংহনতন্ত্রের মধ্যে দুই-তিন মিলিলিটার আকারের হাওয়ার বুদবুদ প্রাণঘাতি হতে পারে। ফুসফুসীয় শিরাতে 0.৫ থেকে এক মিলি মিললিটার আকারের হাওয়ার বুদবুদ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে, যেটা মৃত্যুর কারণ ও হতে পারে।

বুদবুদের আকারের ধারণা দেওয়ার জন্যে উপরে একটি অতি প্রচলিত ৩ মিলিলিটার সিরিঞ্জের ছবি দেওয়া হলো।

সমীক্ষায় দেখা গেছে শতকরা ৫৭ ভাগ হাড়ের সার্জন (Orthopedic surgeon) ছোটো বা বড়ো Air Embolism এর ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। যারা স্কুবা ডাইভিং করে থাকেন, তাদের মধ্যে এই Air বা Gas Embolism এর ঘটনা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়।


এই ধরণের আরও অনেক কিছু জানতে পড়তে থাকুন আমাদের ব্লগ সহজ পাঠ । 

99.99 শতাংশ জানেন না WhatsApp-এর এই ফিচারটির ব্যাপারে

সকলেই WhatsApp ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনিও  হয়তো WhatsApp-এর এই দারুণ ফিচার বা সুবিধার কথা এখনো জানেন না।

whatsapp image

কোন ফিচারটির কথা বলছি? জেনে নিন এখানে।

আপনি ভাবছেন, এই অতি পরিচিত WhatsApp অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারে নতুন কিছু জানার নেই?

দাঁড়াও পথিকবর,

জন্ম যদি তব বঙ্গে তিষ্ঠ ক্ষণকাল।

অনেকে আছেন যারা WhatsApp এ মেসেজ টাইপ না করে রেকর্ডিং পাঠিয়ে দেন। ধরুণ, আপনি অনেকের সামনে বসে আছেন, বা মিটিং এ আছেন, বা এমন পরিবেশে যেখানে জোরে অডিও বাজিয়ে শুনতে পারবেন না এবং দূর্ভাগ্যবশত আপনার কাছে ইয়ারফোন বা হেডফোনও নেই।

কী করণীয়? তৎক্ষণাৎ শুনবেন না? নাকি পরে শুনবেন।

সেই যুগের ইতি অনেককাল আগেই হয়েছে।

আপনাকে যা করতে হবে তা হলো,

১. রেকর্ডিং বা অডিও ফাইলটি ডাউনলোড করুন।অডিও মেসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গেই WhatsApp এর মধ্যে নিজে থেকেই ডাউনলোড হয়ে যায়।

audio recorded sample photo

২. ডাউনলোড হয়ে গেলে, প্লে (▶) বাটনে ক্লিক করে সঙ্গে সঙ্গে কানে ধরুন(ফোনে কথা বললে যেভাবে ফোন কানের কাছে ধরতে হয়)। এরকম করলে অডিও বা রেকর্ডিং মেসেজ Loud Speaker-এ না বেজে ফোনকলের ডিফল্ট Speaker-এ বাজবে যেটা শুধু আপনিই শুনতে পাবেন।

সময়ে অসময়ে এই সুবিধাটি অনেক কাজে লাগবে।

আরো কিছু জানতে চান? পড়তে থাকুন আমাদের ব্লগ sohojpaath.blogspot.com। 

সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০২০

APK বা APP এর মধ্যে তফাৎ কী?

ছোটো উত্তরঃ

App হলো একটি পরিভাষা, যা দিয়ে সমস্ত ধরণের ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনকে বোঝানো হয়। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন যেমন গুগল ক্রোম, ফটোশপ, পিকাসা, পেইন্ট বা হোয়াট্সঅ্যাপ তেমনি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন হোয়াট্সঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, কোরা - সবগুলোকে সাধারণভাবে অ্যাপ্লিকেশন বা সংক্ষেপে অ্যাপ বলা হয়। 

এখন এই অ্যাপ গুলো যখন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্যে ব্যবহার করা হয় তখন .exe ফাইলের দরকার পড়ে তেমনি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যে .apk ফাইলের দরকার পড়ে।

Photo: Apps Vs APK

বড়ো উত্তরঃ

App(Application)

'অ্যাপ' কোনো নতুন শব্দ নয় আমাদের কাছে, তা সত্ত্বেও অনেকে কিন্তু এই জানেন না, আসলে এটি কী? অ্যাপ শব্দটি হলো যেটি অ্যাপ্লিকেশনের সংক্ষিপ্তকরণ যা দিয়ে মোবাইলের জন্যে নির্মাণ করা হয়ে থাকে।

অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক স্মার্ট ফোনের অপারেটিং সিস্টেম যখন আজকের দিনের মতো খ্যাতি অর্জন করেনি, তখন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সফটওয়ার দিয়ে আমাদের সমস্ত রকমের ডিজিটাল কাজ করতে হতো। সময় এগিয়ে গেছে এবং ধীরে ধীরে মানুষের হাতের মুঠোতে মুঠোফোন এসে জুটেছে। আসতে আসতে মোবাইলের ব্যবহার কম্পিউটারের ব্যবহারকে ছাড়িয়ে গেছে।

যাই হোক, এই স্মার্টফোনে বা অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব বা টিভিতে অ্যাপ্লিকেশন গুলো ইন্সটল করা হয়ে থাকে যাদের মাধ্যমে আমরা সবকিছু নখদর্পনে এসে গেছে। কেনাকাটা, ব্যাংকের হিসেবপত্র, অনলাইন ওয়ালেট বা ই-ওয়ালেট, মুভি দেখা বা ডাউনলোড করা সবকিছু এখন খুব সহজেই মুহূর্তের মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন বা সংক্ষেপে অ্যাপ থেকে নিয়ন্ত্রন করা যায়।

অন্য কথায়, অ্যাপ হলো পূর্ব প্রচলিত কম্পিউটার সফটওয়ারের দ্বিতীয় সংস্করণ যা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, মূলত অ্যান্ড্রয়েডের জন্যে তৈরী করা হয়েছে।

APK(Android Application Package) 

APK হলো গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রে(মোবাইল, টিভি, ট্যাব) ইন্সটলযোগ্য ফাইল ফরম্যাট। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম শুধুমাত্র APK ফাইল টাইপ সাপোর্ট করে, ইন্সটল করার জন্যে। APK-এর পুরো নাম: অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ এবং এটি একটি extention মাত্র। এই প্যাকেজের মধ্যে থাকে বিভিন্ন ছোটো ফাইল যেমন: সোর্স কোড, অ্যাপ্লিকেশনের আইকন, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি। প্রত্যেকটা APK ফাইলের সাথে একটি স্বতন্ত্র 'Security key' থাকে যেটি একটি অ্যাপ্লিকেশন থেকে আরেকটি অ্যাপ্লিকেশনকে আলাদা করে রাখে। সাধারণত গুগল প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ ইন্সটল করা হয়।

.Pdf(পিডিএফ ফাইলের extention) বা .docx(MS ওয়ার্ডের extension) বা .txt(notepad এর ফাইলের extension) বা .jpeg/jpg/png(ছবির extension) এর মতো .apk হলো অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রে(মোবাইল, টিভি, ট্যাব) ইন্সটলযোগ্য ফাইলের extension। এটি সাধারণত ফাইলের নামের পরে যুক্ত করা হয়। 

সুতরাং, ইন্সটল করার সময় যে ফাইল ডাউনলোড থাকে, সেটির ফরম্যাট বা extention হলো .apk। 

App আর APK কি তাহলে আলাদা?

এর কোনো ছোটো উত্তর নেই। দুটো আলাদা আলাদা ধারণা। App হলো একটি সাধারণ পরিভাষা, একটি বড়ো ছাতা। APK হলো সেই বড়ো ছাতার অন্তর্গত এক ধরণের অ্যাপ্লিকেশনের ফরম্যাট যা শুধু মাত্র অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করবে। কম্পিউটারের সফটওয়ারের extension-এর ফরম্যাট .exe, অ্যাপেল বা iOS অপারেটিং সিস্টেমের ফাইলের extension যেমন .ipa ইত্যাদি।

APK ফাইল গুগল প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হলে সেখানে জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন বা সাইন ইন করতে হবে। প্লেস্টোর ছাড়াও গুগল সার্চ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অধিকাংশই অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যেতে পারে। তবে সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা প্লেস্টোরের থেকে অনেক কম। 

যেহেতু .apk ফাইল বাইরে থেকে দেখে আসল-নকল বোঝার কোনো উপায় নেই, তাই কোনো বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট বা উৎস থেকেই কোনও অ্যাপ ডাউনলোড ও ইন্সটল করা উচিত। 

শেষ কথা

আগেই বলা হয়েছে, দিন দিন মোবাইলের ব্যবহার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়ে চলেছে, সেই সাথে প্রত্যেক দিন নতুন নতুন অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ্লিকেশন বা .apk ফাইলও তৈরী হচ্ছে।

যাই হোক, আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা পাঠকদের বোঝাতে পেরেছি App আর APK এর মধ্যে পার্থক্য কী?

আমরা কি কিছু মিস করেছি? আরো কিছু জানার ছিলো? তাড়াতাড়ি কমেন্ট করুন নীচে। আমরা হাজির হবো আপনার জিজ্ঞাসার উত্তর নিয়ে। 


শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০

করোনার মধ্যে কিং খান যেভাবে জন্মদিন পালন করবেন

বাদশা শাহরুখ খান কীভাবে জন্মদিন পালন করবেন এই মহামারীর মধ্যে? 

বলিউডের কিং খানের জন্মদিন আসন্ন প্রায়। আগামী ২রা নভেম্বর ২০২০ শাহরুখ খান ৫৫( জন্ম ১৯৬৫, ২রা নভেম্বর) বছরের কোঠায় পা রাখবেন। এই জন্মদিনের প্ল্যান কি? বলিউডের রাজা কি নতুন কিছু করতে চলেছেন এবছর? মনে তো হচ্ছে তাই! 
Photo: Shahrukh Khan

কিং খান জন্মদিন পালনের আদেশ দিয়েছেন দূর থেকে। "ইস বার কা প্যার, থোডা দূর সে ইয়ার..." এমনটাই বললেন শাহরুখ খান।

করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী জনজীবন বিধ্বস্ত। সমস্ত কিছু উল্টে পাল্টে গেছে। যাকে বলে আপ সাইড ডাউন। এর মধ্যেই মানুষ নিজেদের জন জীবন চালিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, করোনার প্রভাব যথাসাধ্য এড়িয়ে।

এটা সর্বজনবিদীত, প্রত্যেক বছর বলিউডের বাদশার জন্মদিনে হাজার হাজার লোকে তাঁর মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ির সামনে হাজির হয় শাহরুখ খানের এক ঝলক দেখার জন্যে। শাহরুখ তার বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ফ্যানদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে থাকেন এবং তাঁর বিখ্যাত পোজ় দিয়ে ভক্তদের মুগ্ধ করে দেন।
Photo: Shahrukh Khan

এবারে হয়তো তার ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। #askSRK এর একটা টুইটার সিরিজে এক ফ্যান যখন জানতে চাই, শাহরুখ খানের জন্মদিন পালনের প্ল্যানের কথা, শাহরুখ তাঁর বাড়ির সামনে সবাইকে আসতে বারণ করে দিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে। টুইট করেছেন, "Please I recommend nobody should collect in crowds. My birthday or wherever! Iss baar ka pyaar...thodha door se yaar." যার তর্জমা হলো, "দয়া করে কেউ ভিড় জমা করবেন না, আমার বাড়ির সামনে হোক বা অন্য কোথাও, এবারের ভালোবাসা দূর থেকেই হোক"।

মুম্বই পুলিশ খেয়াল রাখবে যাতে বাড়ির সামনে কোনও জমায়েত না হয়। কিং খানের এই 'আদেশ" সত্যিই বাহাদুরি যোগ্য।

তবে শাহরুখ খানের ফ্যান ক্লাব কিন্তু বিশ্বব্যাপী অনলাইনের মাধ্যমে জন্মদিন পালন করবে বলে জানিয়েছে। শুধু জন্মদিন পালন নয়, সাথে সাথে কিছু দানমূলক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। ৫৫৫৫ টি পিপিই কিট, ৫৫৫৫ টি স্যানিটাইজার বিতরণ এবং ৫৫৫৫ জন কে খাওয়ানোর আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আশা করা হচ্ছে শাহরুখ খান ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করবেন।
নীচে #askSRK এর সম্পূর্ণ টুইট পড়ুন।


শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০

ভারতীয় সেনা লঞ্চ করলো SAI নামক স্বদেশী মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন। ভারতীয় 'WhatsApp'

ভারতীয় 'WhatsApp' । ভারতীয় সেনা লঞ্চ করলো SAI নামক স্বদেশী মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন

  আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরেকটি ছোটো পদক্ষেপ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে একটি দেশীয় মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করে লঞ্চ করা হয়েছে। SAI বা 'Secure Application for the internet' নামের এই অ্যাপটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্যে হবে অনেক বেশি নিরাপদ। হোয়্যাট্সঅ্যাপের মতোই এই অ্যাপ দিয়ে ভয়েস, টেক্সট এমনি ভিডিও কলের মাধ্যমেও যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে। আপাতত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্যে সাপোর্ট করবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি এবং ভবিষ্যতে iOS বা অ্যাপেল ফোনের জন্যেও উপলব্ধ করা হবে, বৃহস্পতিবার সরকারি ভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ঘোষণা করেছে, এক সাংবাদিক সম্মেলনে।

Photo: SAI, "Indian WhatsApp"

"এই মডেলটি বাণিজ্যিক ভাবে উপলব্ধ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন, হোয়্যাট্সঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, সংবাদ, GIMS-এর মতোই এবং এখানেও end-to-end eccription প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। SAI অ্যাপ্লিকেশনটি স্থানীয় ইন-হাউস সার্ভার এবং কোডিং এর উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে, যা প্রয়োজন মতো পরিবর্তন করা যেতে পারে", বলে বিবৃতি দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

অ্যাপ্লিকেশনটির প্রয়োজনীয়তাঃ

ফেসবুক, টেলিগ্রাম, হোয়্যাট্সঅ্যাপ বা অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন গুলো যে পুরোপুরি সুরক্ষিত নয় একথা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে আসছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য ও  অভ্যন্তরীণ ডেটা এই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোনো না কোনো ভাবে বাইরের জগতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ ছিলো। শুধু তাই নয় বছরের শুরুতে প্রায় ছিয়াশিটি অ্যাপ্লিকেশন ভারতীয়দের জন্যে ব্যান করে দেওয়া হয়। যদিও হোয়্যাট্সঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম সেই বাতিল করে দেওয়া অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে ছিলো না, তবুও একটি নতুন স্বদেশী অ্যাপ্লিকেশনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো। আর সেই প্রয়োজনীয়তার তাগিদ থেকেই এরকম একটি নিরাপদ আর সুরক্ষিত অ্যাপ্লিকেশনের জন্ম হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এই পদক্ষেপ বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, ভারতীয়দের স্বনির্ভরতার একটি নিশ্চিতি প্রতীক।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কার্নেল সাই শংকরের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন তাঁর দক্ষতা এবং এই মহান উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্যে। মন্ত্রক আরো জানিয়েছে, এই অ্যাপ্লিকেশনটি সারা ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি একটা সফটওয়ার ডেভেলপ করা হবে যার মাধ্যমে আরও কয়েকটি সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সমস্ত ধরণের সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ, জরুরি নোটিশ জারি ইত্যাদির জন্যে সেই সফটওয়্যারটি ব্যবহৃত হবে।

অ্যাপ্লিকেশনটির কপিরাইট রক্ষার জন্যে IPR(Intellectual Property Rights)-এর কাজকর্ম শুরু হয়েছে NIC এর মাধ্যমে।

আরও কিছু জানতে চান? কমেন্ট করুন নীচে। আমরা হাজির হবো আপনার উত্তর নিয়ে। 

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০

ফ্রিজের দুর্গন্ধ কী করে দূর করবেন?

ফ্রিজের দুর্গন্ধ কী করে দূর করবেন(How to Remove Bad Odur/Smell from the Fridge?) 

দরকার পড়লে বাড়ির বা দোকানের ফ্রিজ অনেক সময়ে বন্ধ করা হয় বেশ কিছুদিনের জন্যে। ফ্রিজ যদি অনেকদিন বন্ধ করে রাখা হয়, তাহলে খাবার বা পানীয় পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই দুর্গন্ধ দূর করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। ফ্রিজ জল বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে দিলেও দুর্গন্ধ থেকেই যায়।

Photo: Fridge Bad Smell

এই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় আজকে আলোচনা করবো। 

ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে যে উপাদান গুলো লাগবে সেগুলো সাধারণত বাড়িতেই মজুদ থাকে অথবা আশে পাশের দোকানেই পাওয়া যাবে। 

এগুলো পুরোপুরি ঘরোয়া, শতভাগ ফলপ্রসূ এবং এক থেকে দু ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল পাওয়া যায়। 

তাহলে একে একে দেখে নেওয়া যাক কী কী করতে হবে।

পদ্ধতি ১।

লেবু জলঃ

প্রথমেই ভেজা কাপড়ে হালকা সাবান দেওয়া জল দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন। তারপর হালকা গরম জল করে লেবুর রস দিন। সেই লেবু জল দিয়ে পুরো ফ্রিজের ভেতরের অংশ কোণায় কোণায় হাত দিয়ে মুছে নিন। ফ্রিজের গন্ধ খুব বেশি থাকলে একটা লেবু কেটে টুকরো গুলো ফ্রিজের এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে দিন। তারপর ফ্রিজ চালু করে দরজা বন্ধ করে দিন 1 ঘন্টার জন্যে। এর পর যখন ফ্রিজের দরজা খুলবেন, আহা, "লেবুর গন্ধে ঘুম আসেনা, একলা জেগে রই...."

পদ্ধতি ২।

খাবার সোডা বা বেকিং সোডাঃ

রাসায়নিক নাম, সোডিয়াম বাই কার্বনেট। হালকা গরম জলে এই সোডা গুলে নিয়ে একটা পাত্রে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিন। এখন ফ্রিজ চালিয়ে দিন। ঘন্টা খানেক এইভাবে রেখে দিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখুন। গন্ধ যদি খুব বেশি থাকে তাহলে কয়েকটা পেপারে একটু একটু করে সোডা ছিটিয়ে দিয়ে আরো এক থেকে দুই ঘন্টা রাখুন। গন্ধ যুক্ত জলীয় বাষ্প শোষিত হয়ে যাবে। 

পদ্ধতি ৩।

কফি পাউডারঃ

বাড়িতে কফি পাউডার মজুদ থাকলে কয়েকটা কাগজে একটু একটু করে কফি পাউডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফ্রিজের এদিকে ওদিকে রেখে দিন এবং ফ্রিজ চালু করে দিন। 1 ঘন্টা মতো রাখার পরে ফ্রিজ খুলে দেখুন। ফ্রিজের সব দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে এবং কফির সুগন্ধ ছেয়ে থাকবে ফ্রিজের মধ্যে।

পদ্ধতি ৪। 

লবঙ্গ ও লেবুর টুকরোঃ

কয়েকটা পাতিলেবু কয়েক টুকরো কেটে নিয়ে প্রত্যেকটা টুকরোতে দুই তিনটি করে লবঙ্গ গুঁজে দিন এবং ফ্রিজ চালু করে ঘন্টা দুয়েক রেখে দিন। এতে ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হবে এবং সুন্দর ফ্রেশ গন্ধ ছড়িয়ে থাকবে। 

Photo: Lemon and Clove

উপরোক্ত উপাদান গুলো সহজেই বাড়িতে বা আসে পাশের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও রান্নার কাজে ব্যবহৃত ভিনেগারে তুলোর বল ভিজিয়ে দিয়ে ফ্রিজের মধ্যে ঘন্টা দুয়েক রেখে দিলেও ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।

অতিরিক্ত টিপসঃ

ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করার কিছু ফলপ্রসূ অতি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি আমরা জেনে নিলাম। এবার যেটা বলবো সেটা হলো, ফ্রিজে যাতে দুর্গন্ধ না হয় তার ব্যবস্থা করা।

ফ্রিজ বন্ধ করার সময়ে সমস্ত খাবার ও পানীয় বের করে নিন। তারপরে ভেজা কাপড় ও সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার কাপড় নিয়ে পরিষ্কার করুন। ফ্রিজের কোণগুলোতে সবজি বা খাবারের কণা লুকিয়ে থাকে যা পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে গেলে ঘন্টা খানেকের জন্যে ফ্রিজ চালু করে রাখুন যাতে সমস্ত জল শুকিয়ে যায়। তারপর ফ্রিজ বন্ধ করে দিন।

কয়েকটা কাগজে খাবার সোডা বা কফি পাউডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে পারেন। লেবু বা তরল ভিনেগার রাখতে যাবেন না, কারণ সেগুলো বন্ধ ফ্রিজে পচে গিয়ে গন্ধ ছড়াতে পারে। 

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

কুলম্বের সূত্র (Coulomb's law) | তড়িৎ বিভব কাকে বলে, বুঝিয়ে দাও। তড়িৎ বিভবের মাত্রা

কুলম্বের সূত্র (Coulomb's law)

i) দুটি স্থির বিন্দু আধানের মধ্যে কার্যকর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল আধানদ্বয়ের পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক এবং

ii) তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক।

এই বল আধানদ্বয়ের সংযােজী রেখা বরাবর ক্রিয়া করে এবং এর মান আধানগুলি যে মাধ্যমে অবস্থিত হয় তার প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
Photo : Coulomb's Law

ধরা যাক, দুটি আধান q1, ও q2 পরস্পর থেকে r দূরত্বে অবস্থিত। এদের মধ্যে কার্যকর বলের মান F হলে, কুলম্বের সূত্রানুযায়ী,

F ∝ q1q2  এবং F ∝ 1/r2 অর্থাৎ F ∝ q1q2/r2,

গাণিতিক ভাবে, 

Photo : Mathematical Expression of Coulomb's Law
যেখানে k একটি ধ্রুবক যার মান F, q1, q2, ও r-এর এককের উপর এবং যে মাধ্যমে আধান দুটি অবস্থিত তার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। এই  ধ্রুবকটিকে বলা হয় স্থির তড়িৎ বল ধ্রুবক বা কুলম্ব ধ্রুবক। বায়ুর ক্ষেত্রে CGS পদ্ধতিতে k = 1 হয়। সেক্ষেত্রে সূত্রটিকে লেখা যায়, F =(q1q2)/r2 


তড়িৎ বিভব কাকে বলে, বুঝিয়ে দাও। 

তড়িৎ বিজ্ঞানে তড়িৎ বিভব’-এর ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তড়িৎ প্রবাহমাত্রা মান ও প্রবাহের অভিমুখ নির্ধারণের জন্য তড়িৎ বিভব’ তথা বিভব পার্থক্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রয়োজন।

তড়িৎ বিভবঃ কোনাে পরিবাহী তড়িদাহিত হলে ওই পরিবাহী অন্য কোনাে পরিবাহীকে তড়িৎ দিতে পারে কিংবা অন্য কোনাে পরিবাহী থেকে তড়িৎ নিতে পারে। পরিবাহীর এই রকম তড়িৎ অবস্থাকে ওর তড়িৎ বিভব বলা হয়।

উচ্চ বিভব ও নিম্ন বিভবঃ কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ ধনাত্মক আধান উপস্থিত থাকলে সেই ক্ষেত্রটি উচ্চবিভবে আছে বলা হয় এবং অনুরূপভাবে কোনাে একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ ঋণাত্মক আধান উপস্থিত থাকলে সেই ক্ষেত্রটি নিম্নবিভবে আছে বলা হয়। এখন প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ সর্বদা ইলেকট্রন (ঋণাত্মক আধানে আহিত)-এর গতির অভিমুখ বিপরীত দিকে হয়।

বিভবপার্থক্যঃ দুটি সমজাতীয় বা বিপরীত জাতীয় তড়িৎগ্রস্ত বস্তুর মধ্যে বিভবের যে পার্থক্য হয়, তাকে ওদের বিভব প্রভেদ বা বিভব পার্থক্য (potential difference) বলা হয়।

কার্যের ধারণা থেকে বিভবের ধারণাঃ
অসীম দূরত্ব থেকে একটি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনাে বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কার্য করতে হয় তাকে ওই বিন্দুর তড়িৎ বিভব বলে। 

গাণিতিকভাবে, অসীম দূরত্ব থেকে +Q একক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনাে বিন্দুতে আনতে যদি একক কার্য করতে W কৃতকার্য হয় তবে ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব হয়, V=W/Q একক।
অতএব, তড়িৎ বিভব = কৃতকার্য/আধান।

রাশিঃ কার্য এবং আধান উভয়ই স্কেলার রাশি হওয়ায় তড়িৎ বিভব স্কেলার রাশি।

তড়িৎ বিভবের মাত্রা=
[কার্যের মাত্রা/আধানের মাত্রা] =[ML2T-2]/[IT]=[ML2T-3I-1]

তড়িৎ বিভবের এককঃ তড়িৎ বিভবের CGS একক হল esu বা স্ট্যাটভােল্ট (statvolt) এবং SI ও ব্যবহারিক একক হল ভোল্ট (volt)।

তড়িৎবিভব মাপক যন্ত্রের নামঃ ভোল্টামিটার(Voltameter)

একটি সরল ভােল্টীয় কোশের তড়িৎচালক বলের মান হয় 1.08 ভােল্ট,একটি নির্জল কোশ (Dry cell)-এর তড়িৎচালক বলের মান হয় 1.5 ভােল্ট।
এই কোশের বিভব পার্থক্য নির্ভর করবে কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ এবং সংযুক্ত রোধের উপর। 

1 volt = 1/300 esu বিভব।

কোনাে বিন্দুর তড়িৎবিভব 1 V বলতে বােঝায় অসীম দূরত্ব থেকে একটি 1 C ধনাত্মক আধানকে ওই বিন্দুতে আনতে 1 জুল কার্য করতে হবে।
1 ভোল্ট = 1 জুল /1 কুলম্ব 

কার্যের ধারণা থেকে বিভবভেদের ধারণাঃ দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভবপার্থক্য হল একটি বিন্দু থেকে অপর বিন্দুটিতে একক ধনাত্মক আধান নিয়ে যেতে কৃতকার্যের পরিমাণ।

বিভবভেদের এককঃ বিভবপ্রভেদের SI ও ব্যবহারিক একক হল ভােল্ট (Volt)।

দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভবপ্রভেদ 1 V বলতে বােঝায় এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে 1C ধনাত্মক আধান নিয়ে যেতে 1 জুল কার্য করতে হয়। 

জেনে রাখা ভালো, পৃথিবীর তড়িৎবিভবের মান শূন্য ধরা হয়। একটি বস্তু ধনাত্মক তড়িৎগ্রস্ত বলতে বােঝায় বস্তুটির বিভব পৃথিবীর বিভবের তুলনায় বেশি এবং একটি বস্তু ঋণাত্মক তড়িৎগ্রস্ত বলতে বােঝায় বস্তুটির বিভব পৃথিবীর বিভবের তুলনায় কম।


স্থির তড়িৎ ও চল তড়িৎ। তড়িৎ আধানের একক ও মাত্রা। 

তড়িদাধান (Electric charge)

দুটি বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণে বস্তু দুটিতে তড়িতের সঞ্চার হয় এবং যখনই কোনাে বস্তুতে তড়িতের সঞ্চার ঘটে, তখন বলা হয় যে, বস্তুটি তড়িদাহিত হয়েছে।

তড়িৎ দুই ধরনের, যথা

(i) স্থির তড়িৎ (Static electricity) এবং

(ii) চলতড়িৎ (Current electricity)।

যে তড়িৎ উৎপত্তিস্থলেই স্থির অবস্থায় আবদ্ধ থাকে এবং সেই স্থান থেকে অন্যত্র যেতে পারে না তাকে বলা হয় স্থির তড়িৎ এবং যে তড়িৎ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে তাকে বলা হয় চল তড়িৎ। 

যে ভৌত ধর্মের জন্য কোনাে বস্তু কণাকে একটি তড়িৎচৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে কণাটি একটি বল অনুভব করে তাকেই তড়িদাধান বলে। তড়িদাধান দুই প্রকার হয়- (i) ধনাত্মক ও (ii) ঋণাত্মক

যে-কোনাে বস্তুর আহিতকরণের ব্যাখ্যা করা যায় ইলেকট্রনের আধিক্য বা ঘাটতির সাহায্যে। দুটি বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণের ফলে একটি বস্তু থেকে অন্যটিতে ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে। যে বস্তুটি ইলেকট্রন হারায় সেই বস্তুটি ধনাত্মক আধান গ্রস্ত হয়। যে বস্তুটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে সেটি ঋণাত্মক আধানগ্রস্ত হয়।

আধানের মাত্রা ও এককঃ

  • গাণিতিক ভাবে তড়িৎ আধানকে Ampere*Second দ্বারা প্রকাশ করা যায়। তাই তড়িদাধানের মাত্রা [IT];
  • তড়িদাধানের CGS একক esu বা স্ট্যাটকুলম্ব
  • তড়িদাধানের SI একক হল কুলম্ব (C)।

1 C = 3 x 109 esu বা স্ট্যাটকুলম্ব

তড়িৎ আধান কী ধরণের রাশিঃ স্কেলার রাশি 


তড়িৎচালক বল (electromotive force) বা EMF।

তড়িচ্চালক বল এবং তড়িৎচালক বলের উৎস হিসেবে তড়িৎ কোষ (Electromotive force and electric cell as a source of EMF)।

কোনাে স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে হলে যেমন বল প্রয়ােগ করতে হয়, তেমনই কোনাে পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা সৃষ্টি করার জন্য বা প্রবাহ বজায় রাখার জন্য একটি বলের প্রয়ােজনীয়তার কথা ভাবা যায়। একেই বলা হয় তড়িৎচালক বল (electromotive force) বা সংক্ষেপে EMF।

একথা মনে রাখা আবশ্যক যে, ভিন্ন বিভবযুক্ত দুটি বস্তুকে একটি পরিবাহী দ্বারা যুক্ত করলে উচ্চ বিভবযুক্ত বস্তু থেকে নিম্ন বিভবযুক্ত বস্তুতে ধনাত্মক আধান প্রবাহিত হয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রার সৃষ্টি করবে। সুতরাং, বিভব পার্থক্যের কারণে তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়। কাজেই তড়িচ্চালক বল কে নিম্নলিখিতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়—

তড়িৎচালক বলের সংজ্ঞাঃ যার প্রভাবে বা যে কারণে তড়িৎ বর্তনীর কোনাে অংশে রাসায়নিক শক্তি বা অন্য কোনাে প্রকার শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে বিভব পার্থক্যের সৃষ্টি করে তাকে বলা হয় তড়িচ্চালক বল (EMF)।

তড়িচ্চালক বলের এককঃ তড়িচ্চালক বলের SI এবং ব্যবহারিক একক ভােল্ট(Volt)। 

তড়িচ্চালক বল কোন ধরনের রাশিঃ এটি একটি স্কেলার রাশি। 

তড়িচ্চালক বলের মাত্রাঃ তড়িৎচালক বলকে গাণিতিক ভাবে SI পদ্ধতিতে জুল/কুলম্ব বলা যেতে পারে। অর্থাৎ তড়িৎচালক বলের মাত্রা হবে [কার্যের মাত্রা]/[আধাানের মাত্রা] = [ML2T-2]/[IT]=[ML2T-3I-1

তড়িৎচালক বলের উৎসঃ তড়িৎচালক বলের উৎস হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে কোনাে না কোনাে প্রকার শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ডায়নামাে, তাপযুগ্ম, তড়িৎ কোশ, আলোক-তড়িৎ কোশ প্রভৃতি হল তড়িচ্চালক বলের উৎস।

তড়িচ্চালক বল মাপার যন্ত্রঃ পোটেনশিওমিটার ।

কার্য করার জন্য প্রয়ােজনীয় শক্তির উৎস হিসেবে তড়িৎকোশঃ

সচল যন্ত্রাংশবিহীন তড়িৎ উৎসই হল তড়িৎকোশ। তড়িৎকোশ রাসায়নিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে বর্তনীতে স্থায়ী তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টি করে।

বিচ্ছিন্ন বা মুক্ত অবস্থায় কোনাে তড়িৎকোশের তড়িদ্দার দুটির মধ্যে যে বিভবপার্থক্যের সৃষ্টি হয় তাকেই বলা হয় কোশটির তড়িৎচ্চালক বল। একটি সরল ভােল্টীয় কোশের তড়িৎচালক বলের মান হয় 1.08 ভােল্ট,একটি নির্জল কোশ (Dry cell)-এর তড়িৎচালক বলের মান হয় 1.5 ভােল্ট।

কোনাে কোষের তড়িচ্চালক বল 1.5 ভোল্ট বলতে বােঝায় যে, কোষের ধনাত্মক মেরু থেকে ঋণাত্মক মেরুতে 1 কুলম্ব তড়িদাধান নিয়ে যেতে কৃতকার্যের পরিমাণ হয় 1.5 জুল।


Featured Post

ব্রয়লার মুরগি কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর:  এটি একপ্রকার সংকর জাতের মুরগি। করনিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে সাদা প্লিমাউথ রক জাতের স্ত্রী মুরগির মিলনে ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়...

Popular Posts