এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

মানবদেহে অবস্থিত জনন গ্রন্থিগুলির নাম, অবস্থান ও তাদের ক্ষরিত পদার্থগুলির নাম লেখো।

মানবদেহে অবস্থিত জনন গ্রন্থিগুলির নাম, অবস্থান ও তাদের ক্ষরিত পদার্থগুলির নাম লেখো।

উত্তর মানবদেহে অবস্থিত জননগ্রন্থিগুলি হল—
(i) পুরুষদেহে একজোড়া শুক্রাশয়
(ii) স্ত্রীদেহে একজোড়া ডিম্বাশয়৷

জননগ্রন্থির অবস্থান:
  • পুরুষদেহে দেহগহ্বরের বাইরে স্ক্রোটাম নামক থলির মধ্যে শুক্রাশয় দুটি প্রলম্বিত অবস্থায় থাকে।
  • স্ত্রীদেহে শ্রোণিগহ্বরে দুটি ডিম্বাশয় জরায়ুর দুপাশে অবস্থান করে।

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

জীবনবিজ্ঞান প্রশ্নাবলী । পশুখাদ্য বা জাব (Fodder)

পশুখাদ্য বা জাব (Fodder) কী?

উত্তর | ফসল কেটে নেওয়ার পর উদ্ভিদের যে শুকনো কাণ্ড অংশ জমিতে থেকে যায় সেগুলি এবং দানাশস্য ঝাড়াই করার পর যে ভুসি অংশ উৎপন্ন হয় তা মিলিতভাবে গবাদিপশুর খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। একে পশুখাদ্য বা জাব (Fodder) বলে।


বীজবপন করার আগে চাষিরা বীজগুলি রাসায়নিক পদার্থে ভিজিয়ে রাখেন কেন?


উত্তর | বীজবপনের আগে বীজগুলিকে চাষিরা রাসায়নিক পদার্থে ভিজিয়ে রাখেন। কারণ— (i) বীজগুলিকে শোধন করা হয়। (ii) ভবিষ্যতে বীজবপনের পরে যাতে বীজগুলি কোনো কীটপতঙ্গ বা অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত না হয়।


বীজবপনের জন্য বীজের কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য দেখে নেওয়া দরকার?

উত্তর।
(i) বীজগুলি পরিপুষ্ট ও রোগমুক্ত কি না তা দেখে নেওয়া উচিত।
(ii) বীজগুলি খরা ও অতিবৃষ্টির প্রভাব সহনশীল কি না তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

মজুত করার আগে দানাশস্যকে ভালোভাবে সূর্যের আলোয় শুকিয়ে নেওয়া প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তর। জমি থেকে সদ্য সংগ্রহ করা ফসলে আর্দ্রতা বা জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি থাকে। এই অবস্থায় মজুত করলে দানাশস্যে অণুজীবের সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দানাশস্যকে সূর্যের আলোয় ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়া হলে দানাশস্যে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়, ফলে অণুজীবের সংক্রমণের হাত থেকে দীর্ঘসময় রক্ষা করা সম্ভব হয় এবং বীজের অঙ্কুরোদ্গমের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

অণু (Molecule) কাকে বলে? এটি কয় প্রকার ও কী কী? অণুর অস্তিত্ব কল্পনা করে কোন্ বিজ্ঞানী ডালটনের পরমাণুবাদের ত্রুটি সংশোধন করেন?

অণু (Molecule) কাকে বলে?

অণু (Molecule) : মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে ওই মৌলের সমস্ত ধর্ম বজায় থাকে, যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে, তাকে ওই মৌলের বা যৌগের অণু বলে। যেমন – হাইড্রোজেন অণু (H2), অক্সিজেন অণু (O2) ইত্যাদি।

এটি কয় প্রকার ও কী কী? 

অণু দু-প্রকার। যথা — মৌলিক অণু ও যৌগিক অণু।

অণুর অস্তিত্ব কল্পনা করে কোন্ বিজ্ঞানী ডালটনের পরমাণুবাদের ত্রুটি সংশোধন করেন?

অণুর অস্তিত্ব কল্পনা করে বিজ্ঞানী অ্যামেদিও অ্যাভোগাড্রো ডালটনের পরমাণুবাদের ত্রুটি সংশোধন করেন।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

হীরক চকচকে ও কঠিন হলেও অধাতু ব্যাখ্যা করো।

হীরক চকচকে ও কঠিন হলেও অধাতু ব্যাখ্যা করো।

হীরক চকচকে ও কঠিন হলেও অধাতু। কারণ -

  1. হীরক তড়িতের কুপরিবাহী ও আম্লিক অক্সাইড (CO2) উৎপন্ন করে।
  2. লঘু অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না।

হাইড্রোজেন তড়িৎ ধনাত্মক হলেও ধাতু নয় কেন?

হাইড্রোজেন তড়িৎ ধনাত্মক হলেও ধাতু নয়, কারণ—

  1. ঘরের উষ্ণতায় এটি গ্যাস।
  2. এটি তাপ ও তড়িতের কুপরিবাহী।
  3. অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রশম অক্সাইড (H2O) উৎপন্ন করে।
  4. অ্যাসিডের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে না।

শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১

ডালটনের পরমাণুবাদের ত্রুটি উল্লেখ করো।

ডালটনের পরমাণুবাদের ত্রুটি উল্লেখ করো।

বিজ্ঞানী জন ডালটন মৌলে শুধুমাত্র পরমাণুর অস্তিত্ব প্রমাণ করেছিলেন। অণু সম্পর্কে তার কোনো ধারণা না থাকায়, পরমাণুবাদে পরবর্তীকালে কিছু ত্রুটি লক্ষ করা যায়।

এই ত্রুটিগুলি নিম্নরূপ

  1.  ‘পরমাণু অবিভাজ্য কণা’ – ডালটনের এই সিদ্ধান্ত বর্তমানে সঠিক নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, পরমাণু বিভাজ্য এবং এটি প্রোটন, ইলেকট্রন, নিউট্রন এবং আরও কিছু আদিকণা দ্বারা গঠিত।
  2. ডালটন পরমাণুর কল্পনা করলেও, মৌলিক ও যৌগিক অণুর ধারণা করেননি। তাই তিনি পরমাণুকে যৌগের ক্ষুদ্রতম কণা হিসেবে চিহ্নিত করেন।
  3. ডালটন বলেছিলেন, একই মৌলিক পদার্থের পরমাণুগুলি ওজন ও ধর্মে একই। কিন্তু আইসোটোপ আবিষ্কারের পর এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে জানা গেছে, একই মৌলের পরমাণুগুলির ওজন ও ধর্ম আলাদা হতে পারে।
  4. গে-লুসাকের গ্যাস-আয়তন সূত্র ডালটনের পরমাণুবাদ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না।
নোটঃ 
তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কারের পর দেখা গেছে ইউরেনিয়ামের মতো কিছু ভারী মৌল স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেঙে গিয়ে একাধিক হালকা মৌল উৎপন্ন করে, আবার অতি-উচ্চ উষ্ণতায় হাইড্রোজেনের মতো হালকা মৌল সংযোজিত হয়ে নতুন মৌল গঠন করে। সুতরাং, এ থেকে বলা যায় পরমাণু অবিভাজ্য নয়।

ডালটনের পরমাণুবাদ (Dalton's Atomic Theory) কাকে বলে? ডালটনের পরমাণুবাদ বিবৃত করো।

ডালটনের পরমাণুবাদ (Dalton's Atomic Theory) কাকে বলে? ডালটনের পরমাণুবাদ বিবৃত করো।

উত্তর।

প্রকৃতির মধ্যে অবস্থিত মৌলগুলির পরমাণুর পরিচয়, ধর্ম, কীভাবে তারা পরস্পর যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে সে বিষয়ে বিজ্ঞানী জন ডালটন 1808 খ্রিস্টাব্দে একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন। একে বলা হয় ডালটনের পরমাণুবাদ।

ডালটলের পরমাণুবাদ তত্ত্বটি নিম্নরূপ-
  • সমস্ত মৌলিক পদার্থ অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র, নিরেট কণা দ্বারা গঠিত। এই ক্ষুদ্রতম কণাই হল পরমাণু।
  • পরমাণু অবিভাজ্য, অর্থাৎ, কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা পরমাণুকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না।
  • কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা পরমাণুর আকার, ওজন ও ধর্মের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
  • একটি মৌলিক পদার্থের প্রত্যেকটি পরমাণুর ওজন ও ধর্ম একই হয়।
  • বিভিন্ন মৌলিক পদার্থের পরমাণুর ওজন ও ধর্ম আলাদা হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা যৌগ গঠনের সময় বিভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলি পূর্ণ সংখ্যার সরল অনুপাতে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে। 
  • যৌগ গঠনের সময় পরমাণু সর্বদা পূর্ণসংখ্যায় যুক্ত হয়, ভগ্নাংশে যুক্ত হয় না। কারণ – পরমাণু অবিভাজ্য। 


পরমাণু (Atom) কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

 পরমাণু (Atom) কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর।

পরমাণু (Atom) : মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যাকে ভাঙা যায় না, যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে মৌলের সকল ধর্ম বর্তমান, তাকে পরমাণু বলে। নিষ্ক্রিয় গ্যাস ও ধাতুর পরমাণু ছাড়া অন্য মৌলের পরমাণু স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না। কয়েকটি পরমাণু হল হাইড্রোজেন পরমাণু(H), অক্সিজেন পরমাণু (O), সোডিয়াম পরমাণু (Na), হিলিয়াম পরমাণু (He) ইত্যাদি।

কঠিন পদার্থ কাকে বলে? কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

উত্তর

কঠিন পদার্থ (Solid) : 

সাধারণ অবস্থায় যে সকল পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে এবং যাদের আকার পরিবর্তন করার সময় বাধা দেয়, তাদের কঠিন পদার্থ বলে। 

উদাহরণ : লোহা, কাঠ, কয়লা ইত্যাদি।

কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য :

  • নির্দিষ্ট চাপ ও তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থের আকার ও আয়তন সর্বদা নির্দিষ্ট থাকে।
  • কঠিন পদার্থ দৃঢ় হওয়ায় বাইরে থেকে উপযুক্ত পরিমাণ বল প্রয়োগ না করলে কঠিন পদার্থের আকার বা আয়তনের বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয় না।
  • তাপপ্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রমাণ চাপে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় (গলনাঙ্ক) গলতে থাকে।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গ্যাসের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে না। ব্যতিক্রম—আয়োডিন, ন্যাপথলিন, কর্পূর।
  • সাধারণ চাপ ও তাপমাত্রায় কিছু কঠিন পদার্থ নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকৃতিবিশিষ্ট, অর্থাৎ, নিয়তাকার (যেমন—খাদ্যলবণ, ফটকিরি, তুঁতে, বরফ ইত্যাদি)।
  • কিছু কঠিন পদার্থ সাধারণ তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকৃতিবিশিষ্ট নয়, অর্থাৎ, অনিয়তাকার (যেমন—কাচ, চক, পিচ ইত্যাদি)।
  • পদার্থের অণুগুলির মধ্যবর্তী আকর্ষণ বল খুব বেশি হওয়ায় আন্তরাণবিক ফাক খুবই কম।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১

বয়ঃসন্ধি: কিশোর কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকাল । তোমার কী কী কাজ করতে ভালো লাগে? । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ছুটি' গল্পের ফটিক

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ছুটি' গল্পের ফটিকের মতো বন্ধু পেলে তোমরা তাকে কীভাবে সাহায্য করতে?

উত্তর । ফটিকের মতো বন্ধু পেলে আমরা তাকে নিম্নলিখিতভাবে সাহায্য করতাম—

১। বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের ও মনের যে পরিবর্তন ঘটে সে বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত কারণগুলি বন্ধুকে বোঝাতাম।

২। মনের এই পরিবর্তনগুলি যে অস্বাভাবিক নয় তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর যে স্বাভাবিক পরিবর্তনে পরিণত হয় সে বিষয়ে বন্ধুকে জানাতাম।
৩। পড়াশোনার কোনো বিষয়ে অসুবিধা সৃষ্টি হলে সে বিষয়ে বন্ধুকে বুঝতে সাহায্য করতাম। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাকে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করতাম।

৪। বন্ধু হিসেবে তার পাশে থেকে তাকে মানসিক দিক থেকে একা অনুভব করতে দিতাম না।


তোমার কী কী কাজ করতে ভালো লাগে?

উত্তর।

১। পড়াশোনা ও খেলাধুলা করতে।

২। বাড়ির কাজ করতে।

৩। বাবা-মাকে সাহায্য করতে।

৪। পুকুরে সাঁতার কাটতে।

৫। বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ও সুখ, দুঃখ, আনন্দ ভাগ করে নিতে।
৬। অসহায়, পঙ্গু মানুষদের সাহায্য করতে।
৭। যে-কোনো মানুষের বিপদে তার পাশে দাঁড়াতে।

তুমি বয়ঃসন্ধিকালে যে সমস্ত মানসিক পরিবর্তন ও অনুভূতিগুলো অনুভব করো তোমার ছোটোবেলাতেও কি সেরকম মনে হত?

উত্তর। না, এই বয়সে (অর্থাৎ, 12–14 বছর বয়স) যে-সমস্ত মানসিক পরিবর্তন ও অনুভূতিগুলি অনুভব করি তা ছোটোবেলাতে অনুভূত হত না।

কারণ : বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের দেহে বিশেষ কয়েকটি হরমোন ক্ষরণ শুরু হয়। এই সমস্ত হরমোনের প্রভাবে আমাদের যেমন শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে। তেমনি মানসিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে, যা ছোটোবেলাতে ছিল না। আমাদের বিভিন্ন পরিস্থিতি বোঝার এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে ফলে কার্যকারণ সম্পর্কিত অনুভূতিগুলি অনুভূত হয়। যেমন—রাগ, দুঃখ, ভয়, আনন্দ, হাসি, কান্না প্রভৃতি। তবে আবেগ এবং অনুভূতিগুলিকে আমরা এখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যেটা ছোটোবেলাতে করতে পারতাম না।

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের দেহে কী কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে ?

বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের দেহে সংঘটিত পরিবর্তন


(i) উচ্চতা বৃদ্ধি : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের উচ্চতা হঠাৎ বাড়তে শুরু করে। এই বৃদ্ধির হার শুরুতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের একটু বেশি হলেও 18 বছর বয়সে দুজনের বৃদ্ধির হার সমান হয়ে যায়।


(ii) দেহগঠনে পরিবর্তন : ছেলেদের ক্ষেত্রে পেশির বৃদ্ধি অত্যস্ত দ্রুত ও বেশি বলে পেশিবহুল দেহ গঠিত হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে ফ্যাটের অধিক সঞ্চয়ের ফলে দেহ বেশি কোমল, নরম, মসৃণ ও নারীসুলভ হয়ে ওঠে।


(iii) কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন : ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালের শুরুতে (Puberty Stage) স্বরযন্ত্রের বৃদ্ধি ও পেশির বৃদ্ধির মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে না বলে স্বর খাপছাড়াভাবে ভেঙে যায় অর্থাৎ, কণ্ঠস্বরের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কিন্তু কয়েক দিন পরেই পেশির বৃদ্ধি সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার ফলে গলার স্বর ভারী হয়ে ওঠে। কণ্ঠস্বরে গাম্ভীর্য তৈরি হয়। অন্যদিকে মেয়েদের স্বরযন্ত্র খুব বেশি বৃদ্ধি পায় না ফলে কণ্ঠস্বর মিষ্টি হয়।


(iv) ঘর্মগ্রন্থি ও সিবেসিয়াস গ্রন্থির সক্রিয়তা বৃদ্ধিঃ বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের এবং মেয়েদের দেহে সিবেসিয়াস গ্রন্থি ও ঘর্মগ্রন্থির সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ফলে তৈল (সিবাম) ও ঘর্মক্ষরণ বেড়ে যায়। একারণে মুখমণ্ডলে ব্রণ ও অ্যাকনে (Acne) দেখা দেয়৷ 

(v) জনন অঙ্গের বৃদ্ধি : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের দেহে শুক্রাশয় ও আনুষঙ্গিক জনন অঙ্গের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে এবং শুক্রাণু ও বীর্য উৎপাদন শুরু হয়।


অন্যদিকে মেয়েদের দেহে ডিম্বাশয় ও আনুষঙ্গিক জননাঙ্গের বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে এবং ডিম্বাণু উৎপাদন ও রজঃচক্র শুরু হয়।

Featured Post

ব্রয়লার মুরগি কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর:  এটি একপ্রকার সংকর জাতের মুরগি। করনিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে সাদা প্লিমাউথ রক জাতের স্ত্রী মুরগির মিলনে ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়...

Popular Posts