এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

জলের কয়টি অবস্থা থাকে ও কী কী ?

উত্তর। জলের তিনটি অবস্থা থাকে।

যথা— 

  • কঠিন অবস্থা — বরফ,
  • তরল অবস্থা — জল,
  • গ্যাসীয় অবস্থা— বাষ্প।

জেনে রাখো : পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হল পদার্থের প্লাজমা (Plasma) অবস্থা— মহাবিশ্বে 99% পদার্থই এই অবস্থায় থাকে। আবার বোস-আইনস্টাইনের কনডেনসেশান তত্ত্ব অনুযায়ী পদার্থের পঞ্চম অবস্থাটি হল Super cooled অবস্থা বা বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট (BE Condensate) অবস্থা।

নিউক্লীয় বল (Nuclear Force) বল কী? নিউক্লীয় বলের (Nuclear Force) বৈশিষ্ট্য কী? এর উৎপত্তি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর | 

নিউক্লীয় বল (Nuclear Force) : পরমাণুর নিউট্রন ও প্রোটনের মধ্যে ক্রিয়াশীল যে আকর্ষণ বলের জন্য প্রোটন ও নিউট্রন নিউক্লিয়াসের মধ্যে আবদ্ধ থাকে, তাকে নিউক্লীয় বল (Nuclear Force) বলে।

নিউক্লীয় বলের (Nuclear Force) বৈশিষ্ট্য কী?

  1. নিউক্লীয় বলের অস্তিত্ব শুধুমাত্র নিউক্লিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
  2. এই বলের শুধুমাত্র আকর্ষণ ক্ষমতা আছে, বিকর্ষণ ক্ষমতা নেই।
  3. এই বল কেবলমাত্র নিউট্রন ও প্রোটনের মধ্যে 3 ক্রিয়াশীল থাকে।

পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক তড়িগ্রস্ত কণা প্রোটন এবং নিস্তড়িৎ কণা নিউট্রন একইসঙ্গে অবস্থান করে, এই প্রোটন ও নিউট্রনের মধ্যে অবিরাম গতিতে চার্জ বিনিময় হয় ফলে প্রোটন নিউট্রনে ও নিউট্রন প্রোটনে পরিণত হয়। এই রূপান্তর এতই দ্রুত হয়, যে ধনাত্মক তড়িগ্রস্ত প্রোটন কণার মধ্যে কুলম্বীয় বিকর্ষণ বল কার্যকরী হয় না। পরিবর্তে প্রোটন ও নিউট্রনের মধ্যে এক তীব্র আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। যার ফলে প্রোটন ও নিউট্রন একসঙ্গে নিউক্লিয়াসে অবস্থান করতে পারে এবং পরমাণুর নিউক্লিয়াসটি সুস্থিত হয়। এই বলের মান মহাকর্ষীয় আকর্ষণ বলের প্রায় 1040 গুণ। এই বলের কার্যক্ষমতা প্রায় 1 ফেমটোমিটার (fm, বা 1.0 × 10 − 15 মিটার) মিটারের মধ্যে ক্রিয়াশীল থাকে।

জাপানি বিজ্ঞানী ইউকাওয়ার মতে প্রোটন ও নিউট্রনের মধ্যে পাই মেসন কণার আদানপ্রদান হয়। এর ফলে নিউক্লীয় বলের সৃষ্টি হয়।

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২

মৌলের পরমাণু ক্রমাঙ্ক ও ভরসংখ্যার সংজ্ঞা দাও। এদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো।

উত্তর। 

পরমাণু ক্রমাঙ্ক (Atomic Number): মৌলের নিউক্লিয়াসে উপস্থিত মোট প্রোটন সংখ্যাকে তার কোনো পরমাণু ক্রমাঙ্ক বলে। যেমন – 6C12 মৌলে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা 6টি। সুতরাং, এর পরমাণু ক্রমাঙ্ক 6।

ভরসংখ্যা (Mass Number) : কোনো মৌলের নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টিকে ওই মৌলের ভরসংখ্যা বলে। যেমন – 6C12 মৌলে 6টি প্রোটন ও 6টি নিউট্রন আছে। সুতরাং, এর ভরসংখ্যা (6 + 6) = 12। অর্থাৎ, ভরসংখ্যা = (প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা)।


পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক :

ধরি, কোনো মৌলের পরমাণুতে p সংখ্যক প্রোটন, n সংখ্যক নিউট্রন আছে। তাহলে মৌলের ভরসংখ্যা M হলে, M = (p + n) । আবার, মৌলের প্রোটন সংখ্যা (p) = পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক।

সুতরাং, ভরসংখ্যা = (পারমাণবিক সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা)।

মাড়াই (Threshing) কাকে বলে? মাড়াই-এর কাজে লাগানো হয় এমন দুটি পশুর নাম লেখো।

মাড়াই (Threshing) কাকে বলে? মাড়াই-এর কাজে লাগানো হয় এমন দুটি পশুর নাম লেখো।

উত্তর : যে পদ্ধতিতে দানাজাতীয় ফসলের ভোজ্য অংশ (দানাশস্য, যেমন—ধান, গম প্রভৃতি) থেকে ফসল উদ্ভিদের অন্যান্য অংশকে আলাদা করা হয়, তাকে মাড়াই বা থ্রেসিং বলে।

মাড়াই:




মাড়াই-এর কাজে লাগানো হয় এমন দুটি পশু হল— বলদ এবং গাধা।

কম্বাইন হারভেস্টার কাকে বলে?

উত্তর: বর্তমানে বৃহৎ শস্য উৎপাদন ক্ষেত্রে চাষের জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা ফসলি উদ্ভিদ কাটা, মাড়াই করা এবং দানাশস্যকে অন্যান্য উদ্ভিদ অংশ থেকে আলাদা করার জন্য যে বৃহৎ আকৃতির চলমান যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাকে কম্বাইন হারভেস্টার (Combine Harvester) বলে।


কম্বাইন হারভেস্টারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কী কী?


কম্বাইন হারভেস্টারের সুবিধা : এই যন্ত্র ব্যবহার করলে আলাদাভাবে ঝাড়াই করার প্রয়োজন হয় না। দানাশস্যকে যন্ত্র দ্বারাই অন্যান্য উদ্ভিদ অংশ থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়।


কম্বাইন হারভেস্টারের অসুবিধা : কম্বাইন যন্ত্র ফসলি উদ্ভিদের উপর দিকের অংশ কেটে নেয় বলে পশুখাদ্য (Fodder) উৎপাদন কম হয়। অর্থাৎ, খড় অংশের বেশিরভাগটাই চাষের জমিতে থেকে যায়। এ ছাড়া, যন্ত্রটির ব্যবহার খরচ সাপেক্ষ।


ঝাড়াই (Winnowing) কী ? বর্তমানে ওই কাজের জন্য কোন্ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?

উত্তর। ফসলি উদ্ভিদ থেকে পৃথকীকৃত দানাশস্যকে যে পদ্ধতি দ্বারা ভুসি থেকে আলাদা করা হয়, তাকে ঝাড়াই করা বা Winnowing বলে। অল্পপরিমাণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে উঁচু জায়গা থেকে ফেললে হালকা ভুসি হাওয়ায় উড়ে যায় এবং ভারী দানাশস্য মাটিতে জমা হয়।

 

বর্তমানে ওই কাজের জন্য ফ্যানিং মিল(Fanning Mill) যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।


রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২

ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করুন। ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকার?

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 

বর্তমানে অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পেশাগত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে । আপনার নিজের ব্যবসা বা অন্যের ব্যবসার প্রচারের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ডিজিটাল মার্কেটিং জড়িত। এমনকি অনেকে তাদের ক্যারিয়ার হিসাবে ডিজিটাল মার্কেটিং পছন্দ করে।


তাই ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য একটি প্রধান ক্যারিয়ারের পথ। আমরা আজকের নিবন্ধে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য জানার চেষ্টা করব ।


ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন এক ধরনের পণ্য যেখানে কেউ চাইলে সহজেই নিজেকে ক্যারিয়ারে রূপান্তরিত করতে পারে। যাই হোক, আসুন মূল কথায় ফিরে আসি, ডিজিটাল মার্কেটিং জিনিসটা কি আসলে?

আমরা সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিংকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দ্বারা পরিচালিত  বিপণন হিসাবে উল্লেখ করি। অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। আপনাদের মধ্যে যাদের এখনও ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝতে সমস্যা হচ্ছে, সহজ ভাষায়, ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট জগতে পণ্য, সংস্থা বা ব্র্যান্ডের প্রচার। যা সম্পন্ন করতে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যবহার করা হয়।

সাম্প্রতিককালে ডিজিটাল মার্কেটিং মানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার বা বিজ্ঞাপন করা।
আশা করি আপনারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্বন্ধে একটু ধারণা তৈরি হয়েছে।


ডিজিটাল মার্কেটিং করে লাভ কি হবে ? 

কোথায় ডিজিটাল মার্কেটিং প্রযোজ্য? 

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয়? 

অনেক প্রশ্ন? 

পড়তে থাকুন। একে একে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। 


ইতিমধ্যেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যক্রম আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এখন আপনি যদি অনলাইনে আপনার ব্যবসা বা অন্যান্য ব্যবসার প্রচার করতে আগ্রহী হন তবে আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। কারণ আজকের প্রযুক্তির যুগে মানুষ ইন্টারনেটে বেশিক্ষণ থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আর তাই আপনি যে পরিষেবাগুলি প্রচার করবেন তা সহজেই নির্দিষ্ট লোকেদের কাছে পৌঁছে যাবে।


ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গতানুগতিক(Traditional)  বিপণনের এর মধ্যে পার্থক্য কি?


ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গতানুগতিক বিপণনের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। ব্যক্তি বিশেষের  যোগ্যতা, দক্ষতা এবং চাকরির প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করছে কোনটা প্রযোজ্য বা যুতসই হবে। কোন ব্যবসাতে দুটোই দরকার, কোনটাই বা যেকোনো একটি।

ব্যবসা বা উৎপাদন(প্রোডাক্ট)-এর উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি প্রথাগত মার্কেটিং করবেন নাকি ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন।


# মনে রাখবেন প্রথাগত মার্কেটিং এর জন্য শুরুতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়, কিন্তু  খুব কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়।


# নির্দিষ্ট গ্রাহকদের লক্ষ্য করে ডিজিটাল মার্কেটিং ফোকাস করা হয়, অন্যদিকে গতানুগতিক মার্কেটিং সাধারনভাবে সকলের জন্যে করা হয়। 

# ছোট কোম্পানিগুলো বেশি খরচের কারণে গতানুগতিক মার্কেটিং করতে পারে না। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি নিরন্তর মার্কেটিং সিস্টেম।


# মনে রাখবেন, আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রথাগত বিপণনের চেয়ে দ্রুত পণ্য প্রচার করতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধাঃ
* ইন্টারনেটে কোম্পানির ব্র্যান্ড তৈরি করা যায়, যা অন্য কোনোভাবে সহজে করা যায় না
* ডিজিটাল মার্কেটিং হল আপনার ওয়েবসাইট প্রচার করার সবচেয়ে সহজ উপায়
* ঘরে বসেই কম্পিউটার দিয়ে মার্কেটিং করা যায় তাই কারো কাছে যেতে হবে না
* পণ্যের অর্ডার ঘরে বসে অনলাইনে পাওয়া যায় তাই সহজেই পণ্য বিক্রি করা সম্ভব
* গ্রাহকদের সাথে একটি অনলাইন সম্প্রদায় তৈরি করা সম্ভব
* ছোট কোম্পানির জন্যই কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্ভব
* পণ্যের বিজ্ঞাপন অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে


ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধাগুলো কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধাঃ

* স্বল্প খরচে ছোট-বড় সব কোম্পানির ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব নয় 
* স্বল্প সময়ে পণ্যের বিজ্ঞাপন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়।


ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবেন?


ডিজিটাল মার্কেটিং: 

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই জনপ্রিয় বা ভালো মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে! নিচে কিছু জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং কার্যক্রম তুলে ধরা হলো!


#  সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং - ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং  


#  অ্যাডওয়ার্ড মার্কেটিং - যেমন গুগল এডওয়ার্ড 


# অনলাইন ভিডিও সাইট - যেমন ইউটিউব মার্কেটিং


# কন্টেন্ট রাইটিং, কপি রাইটিং ইত্যাদি।


# সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (এসইও)


# ইমেল মার্কেটিং


# অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং


# মোবাইল অ্যাপ মার্কেটিং


উপরোক্ত কিছু উপায় অবলম্বন করে সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ সেই বিষয় অবলম্বন করে সহজেই অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব।


ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় কি? 


ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক দূর এগিয়েছে! তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য, অনলাইনে বিশেষ করে ইউটিউব ও বিভিন্ন ধরনের ব্লগে  নানান ধরনের কোর্স পাওয়া যায়।


এই কোর্সগুলো করে আপনি সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু টিপস এবং শেষ কথা?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন জগতে আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়ার একটি উপায়।

ধৈর্য এবং আপনার নিজের সততার সাথে কাজ করতে থাকুন এবং সাফল্যের দিকে এক ধাপ করে এগিয়ে যান। ধীরে ধীরে আপনি নিজের ক্যারিয়ার উন্নত করতে বা গড়তে সক্ষম হবেন। 

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করতে হয়। আর আপনি নিশ্চয়ই আর্টিকেলটি থেকে কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

মানবদেহে অবস্থিত জনন গ্রন্থিগুলির নাম, অবস্থান ও তাদের ক্ষরিত পদার্থগুলির নাম লেখো।

মানবদেহে অবস্থিত জনন গ্রন্থিগুলির নাম, অবস্থান ও তাদের ক্ষরিত পদার্থগুলির নাম লেখো।

উত্তর মানবদেহে অবস্থিত জননগ্রন্থিগুলি হল—
(i) পুরুষদেহে একজোড়া শুক্রাশয়
(ii) স্ত্রীদেহে একজোড়া ডিম্বাশয়৷

জননগ্রন্থির অবস্থান:
  • পুরুষদেহে দেহগহ্বরের বাইরে স্ক্রোটাম নামক থলির মধ্যে শুক্রাশয় দুটি প্রলম্বিত অবস্থায় থাকে।
  • স্ত্রীদেহে শ্রোণিগহ্বরে দুটি ডিম্বাশয় জরায়ুর দুপাশে অবস্থান করে।

মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

জীবনবিজ্ঞান প্রশ্নাবলী । পশুখাদ্য বা জাব (Fodder)

পশুখাদ্য বা জাব (Fodder) কী?

উত্তর | ফসল কেটে নেওয়ার পর উদ্ভিদের যে শুকনো কাণ্ড অংশ জমিতে থেকে যায় সেগুলি এবং দানাশস্য ঝাড়াই করার পর যে ভুসি অংশ উৎপন্ন হয় তা মিলিতভাবে গবাদিপশুর খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। একে পশুখাদ্য বা জাব (Fodder) বলে।


বীজবপন করার আগে চাষিরা বীজগুলি রাসায়নিক পদার্থে ভিজিয়ে রাখেন কেন?


উত্তর | বীজবপনের আগে বীজগুলিকে চাষিরা রাসায়নিক পদার্থে ভিজিয়ে রাখেন। কারণ— (i) বীজগুলিকে শোধন করা হয়। (ii) ভবিষ্যতে বীজবপনের পরে যাতে বীজগুলি কোনো কীটপতঙ্গ বা অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত না হয়।


বীজবপনের জন্য বীজের কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য দেখে নেওয়া দরকার?

উত্তর।
(i) বীজগুলি পরিপুষ্ট ও রোগমুক্ত কি না তা দেখে নেওয়া উচিত।
(ii) বীজগুলি খরা ও অতিবৃষ্টির প্রভাব সহনশীল কি না তা যাচাই করে নেওয়া উচিত।

মজুত করার আগে দানাশস্যকে ভালোভাবে সূর্যের আলোয় শুকিয়ে নেওয়া প্রয়োজন হয় কেন?

উত্তর। জমি থেকে সদ্য সংগ্রহ করা ফসলে আর্দ্রতা বা জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি থাকে। এই অবস্থায় মজুত করলে দানাশস্যে অণুজীবের সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দানাশস্যকে সূর্যের আলোয় ভালোভাবে শুকিয়ে নেওয়া হলে দানাশস্যে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়, ফলে অণুজীবের সংক্রমণের হাত থেকে দীর্ঘসময় রক্ষা করা সম্ভব হয় এবং বীজের অঙ্কুরোদ্গমের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

Featured Post

ব্রয়লার মুরগি কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর:  এটি একপ্রকার সংকর জাতের মুরগি। করনিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে সাদা প্লিমাউথ রক জাতের স্ত্রী মুরগির মিলনে ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়...

Popular Posts