এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

কচু বা মুখী কচু, গাঁটি কচু চাষ কীভাবে করবেন?

কন্দ ফসলের মধ্যে কচু পুষ্টিকর ও অর্থকরী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর পরেই কচুর স্থান যেভাবে এর চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে - অচিরেই অবহেলিত ফসল হিসাবে একে আর গণনা করা যাবেনা। 'ফেমিন ফুড’ অথবা দুর্ভিক্ষের খাবার হিসাবে মর্যাদায় ওল ও কচু সবার আগে।

 খাদ্যগুণশ্বেতসার শর্করা,নিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কন্দ জাতীয় সবজি। কচি শাকও খুব উপকারি।

 জাত: এম.এল-,এম.এল-,এম.এল-,বি.সি.সি-১। স্থানীয় ভালো জাত নদীয়া।

মেয়াদ: ৬ থেকে মাস।

বোনার সময়: উষ্ণ আর্দ্র,২১ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়না তাপমাত্রায় উপযুক্ত। চৈত্র-বৈশাখ (এপ্রিল-মে) রাজ্যের শুকনাে পশ্চিমাঞ্চলে যেমন-পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান মালদহ জেলার ঝাড়খন্ড সংলগ্ন শুকনাে ব্লকগুমিতে জৈষ্ঠ মাসে প্রথম বৃষ্টির সাথে সাথে লাগানাে ভাল।

জমি মাটি: উঁচু জমি, মাটির পি.এইচ . -, জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁয়াশ বেলে দোয়াশ মাটিতে ভাল হয়। জলনিকাশি ব্যবস্থা ভালাে থাকা দরকার।

সেচ: চৈত্র বৈশাখ মাসে লাগালে বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত ১০-১২ দিন অন্তর বিশেষত শুকনাে এলাকায় হালকা সেচ দেওয়া দরকার হয়।

সারি গাছের দূরত্ব: সারির দূরত্ব ৪৫ সেমি বা . ফুট। সারিতে বীজের দূরত্ব ১৫ সেমি। - সেমি গাভাবে মাদা করে লাগাতে হবে। 

বীজের হার: ২০-২৫ গ্রাম মাপের বীজ বসাতেহবে। বীজের হাব৮ কুইন্টাল প্রতি হেক্টরে ১০৫-১১০ কেজি প্রতি বিঘায়।

সার: বিঘা প্রতি ১২-১৫ কেজি জৈব সার দিতে হয়। বীজ লাগানাের সময় মূল সার হিসাবে ১০-১২ কেজি ইউরিয়া,২০-৩০ কেজি সুপার ফসফেট, ১২-১৫ কেজি মিউরেট অফ পটাশ সার এবং ৩০-৩৫ দিন পর -১০ কেজি ইউরিয়া চাপান সার দিয়ে গােড়ায় মাদা বেঁধে দিলে ভালাে হয়। 

সাথি ফসল: লাল শাক, মুলো শাক ইত্যাদি।

উৎপাদন: ১২-১৫ কুইন্টাল প্রতি বিঘায়। ৮০-১০০ কুইন্টাল প্রতি হেক্টরে। 

রােগপােকা: রােগের মধ্যে কন্দ পচা (সফট রট) পাতা ধ্বসা রােগ সাধারণত: দেখা যায়। এরােগ দেখা দেওয়া মাত্র ১০-১২ দিন অন্তর ডাইথেন এম-৪৫ দুই গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে -১০ দিন অন্তর দু থেকে তিনবার স্প্রে করতে হবে। টাটকা গােবরের নির্যাস - বার স্প্রে করলে নিরাময় হয়। এছাড়া বিঘাপ্রতি ৩০০ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি নামে জীবাণুনাশক জৈবসারের সাথে মিশিয়ে শেষ চাষে মাটিতে মিশালে নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মন্তব্য: পরিচর্যা খুব কম লাগে ৬০-৭০ দিন পর বিঘা প্রতি ১০ কেজি ইউরিয়া দিয়ে গােড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে। ইঞ্চির বেশি গভীরে বীচনা লাগালে ফলন কমে যায়। দুই সারির মাঝে লাল শাক, মুলাে শাক ইত্যাদি সাথি ফসল হিসাবে লাগিয়ে চটজলদি আয়ের ব্যবস্থা হয়। বীচন লাগানাের পর খড় বা শুকনাে পাতা দিয়ে আচ্ছাদন দেওয়া ভালো। জলনিকাশি ব্যবস্থা ভালাে থাকা দরকার।

কচু ও কচুর গাছ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

ব্রয়লার মুরগি কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর:  এটি একপ্রকার সংকর জাতের মুরগি। করনিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে সাদা প্লিমাউথ রক জাতের স্ত্রী মুরগির মিলনে ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়...

Popular Posts