কন্দমূল ফসলের মধ্যে মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং অর্থকরী।
জাত: লাল জাত এইচ ২৬৮, এইচ ৮৫/১৬ ওপি, এইচ ৭০-১০১, এইচ ৯০-৭০৪। সাদা জাত-কালমেঘ, পি ২১৭, এস-৩০। এছাড়া উন্নত জাত ক্রস -৪। অনেক দেশী জাত আছে।
মেয়াদ: ১২০ দিন।
বোনার সময়: আগস্ট থেকে জানুয়ারি।
জমি ও মাটি: উঁচু জমি ও বেলে-দোঁয়াশ মাটি উপযুক্ত। দোঁয়াশ মার্টিতেও ভাল হয়।
সারি ও গাছের দূরত্ব: সারির দূরত্ব ৬০ সেমি, সারিতে গাছের দূরত্ব ২০ সেমি বা ৮ ইঞ্চি।
বীচনের হার: বিঘা প্রতি ৮৭০০ টি, ৩-৪ টি গাঁটযুক্ত লতার টুকরো লাগে(৬৫ হাজার কাটিং হেক্টর প্রতি)। বীচন ২ দিন ছায়াতে রেখে তারপর লাগাতে হয়।
সার: জৈবসার ১২০০-১৫০০ কেজি বিঘা প্রতি(১০-১৫ টন প্রতি হেক্টরে)। সঙ্গে ৮-১০ কেজি রাসায়নিক যৌগ সার(১০:২৬:২৬) দেওয়া যেতে পারে।
সাথি ফসল: ভুট্টা, আখ, বেগুন, লঙ্কা।
উৎপাদন: ৮-১০ কুইন্টাল (৬০-৭০ কুইন্টাল প্রতি হেক্টর)। ৯৯ সালে মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ব্লকের সরদা গ্রামে কাজলা জনকল্যাণ সমিতির তত্ত্বাবধানে ১২টি উন্নত জাতের পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়। কাঠা প্রতি ১৪৫.৭৪০ কেজি অর্থাৎ বিঘা প্রতি ২৯১৫ কেজি গড় ফলন পাওয়া গেছে।
রোগপোকা: পোকার মধ্যে কান্ড ও কন্দমূল ছিদ্রকারী পােকা, মিলেবাগ (সাদা তুলাের মত ডগায় ও পাতার তলায়) দেখা যায়। কাঠা প্রতি দেড় থেকে দুই কেজি নীম খােল লাগানাের ৪০-৪৫ দিন বয়সে প্রথমবার ও ৭৫-৮০ দিন বয়সে ২য় বার গােড়ায় মাটি ধরানাের সময় জৈবসার হিসাবে ব্যবহার করলে সারের কাজও যেমন হয় কান্ড ছিদ্রকারী পােকাও সামাল দেওয়া যায়।
মন্তব্য: রাঙা আলুর কচি ডগা কলমী শাকের মত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন