এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১

"হীরে চুম্বন করলে মানুষের মৃত্যু হয়" - এই কথাটি কতটা যুক্তিযুক্ত?


ছোটো উত্তর : কথাটা যতোটা সত্য ততটাই মিথ্যে।

বড় উত্তর :

পৃথিবীর সব থেকে কঠিন মৌলিক পদার্থের নাম কি জানেন? হীরে বা হীরা। চুম্বন তো দূরের কথা, হীরে চুষে চুষে আপনার প্রাণ পাখি বেরিয়ে যেতে পারে কিন্তু হীরের একটা অণু বা পরমাণু আপনি সেখান থেকে বের করতে পারবেন না।

আরেকটু উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। হাইড্রোক্লোরিক/সালফিউরিক এসিডের 50 শতাংশ দ্রবণ মানুষের হাত পুড়িয়ে দিতে পারে, মুহূর্তের মধ্যে। কিন্তু এই এসিডের 100 শতাংশের দ্রবণে হীরে ডুবিয়ে রাখলেও হীরের গায়ে দাগ কাটতে পারে না। সাধারন ঘরের তাপ ও চাপে হীরা কোনো রাসায়নিকের সাথে বিক্রিয়া করে না। এমনকী, একটা হীরা কাটার জন্যে আরেকটা শক্ত হীরা ব্যবহার করা হয়।

তবে, আগেকার মুভি বা গল্পের বইয়ে কেন দেখাতো, হীরের আংটি চুম্বন করলে মানুষ মারা যায়। আসলে, সেখানে অর্ধসত্য বলা হয়। আগেকার দিনে গুপ্তচর বা রাজা বা রানীরা হীরার বা সাধারণ আংটির মধ্যে খুবই বিষাক্ত বিষ লুকিয়ে রাখতেন।

বিষ রাখার জন্যে এর থেকে ভালো জায়গা আর কী হতে পারে বলুন। ধরুন কোনো গুপ্তচর ফাঁদে পড়ে গেলো, চারিদিক ঘিরে নেওয়া হয়েছে। গুপ্তচর বৃত্তির সাজা কিন্তু খুব কঠিন হতো। তাই তারা ধরা পড়ার আগেই হাতের আংটি চুম্বন করে নিতো, খুব তাড়াতাড়ি। শরীরের অন্য অংশে বিষ লুকিয়ে রাখা ও প্রয়োজনে তার ব্যবহার করা খুব দুঃসাধ্যের।

একইভাবে রাজা বা রানীরা অন্য রাজার হাতে বন্দি হওয়ার আগে, আত্মসম্মান রক্ষার জন্যে, আংটি চুম্বন করে আত্মহত্যা করতেন।

যেহেতু অধিকাংশ মুভি বা গল্পে এইরকম দৃশ্যে রাজা বা রানীকে আংটি চুম্বন করে মরতে দেখা যেতো, সাধারণ মানুষের মনে হতো, হীরার আংটি চুম্বন করে মরলেন, রাজা বা রানী(রাজা বা রানীর হাতের আংটি হীরার হবে, এমন চিন্তা মাথায় আসা নিরর্থক নয়)।

তবে প্রাচীন কালে অনেকে দাঁতের মাঝে বা জামা/পোশাকের কলারের কোনায় বিশেষ "থলির" সাহায্যে বিষ লুকিয়ে রাখতেন। শোনা যায় পটাশিয়াম সায়ানাইড রাখা হতো, যেটা খেলে মানুষ মুহূর্তের মধ্যে মারা যেতে পারে।

বুধবার, ২৬ মে, ২০২১

গুগল ড্রাইভ(Google Drive) কী? গুগল ড্রাইভ কিভাবে ব্যবহার করব?

 আসলে গুগল ড্রাইভ হলো গিয়ে গুগল প্রদত্ত অনলাইন স্টোরেজ, যেটা আপনার জিমেইলের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে। আমরা যখন Gmail এ নতুন মেইল আইডি খুলি তখন 15GB এর একটা অনলাইন স্টোরেজ ফ্রি দেওয়া হয় সেই অ্যাকাউন্টের সাথে, যেটা গুগল ড্রাইভ(Drive) হিসেবে আপনাকে আপনার ফোনে দেখাবে। এই ড্রাইভে আপনার ফোনের মিডিয়া অর্থাৎ, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি রাখতে পারেন।

মোদ্দা কথা এই যে, এই 15GB আপনি ফ্রি পাচ্ছেন গুগলের তরফ থেকে যেখানে আপনি আপনার ফোনের জিনিসপত্র রাখতে পারছেন। গুগল ড্রাইভ ফোনের মেমোরি চুরি করে না, উপরন্তু একটা মেইল আইডির গুগল ড্রাইভ আপনার ফোনের মেমোরি 15GB বাড়িয়ে দেয়।

যেখানে অ্যাপলের আইফোন মাত্র 5 GB iCloud(অ্যাপলের অনলাইন স্টোরেজ) ফ্রি দেয়, সেখানে গুগল 15 GB ফ্রি দেয়। যদি আপনার 15GB এর বেশি দরকার হয়, আপনার ফোনের গুগল ড্রাইভ বা জিমেইল অ্যাপ্লিকেশনে আরেকটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট যুক্ত করুন।

ফোনের ফাইল ম্যানেজার অ্যাপ্লিকেশনে দেখতে পারেন গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ। লক্ষ্য করুন ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজের পাশাপাশি আরও অনেকগুলো ড্রাইভের স্টোরেজ দেখাচ্ছে।

Drive Storage


শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

শাঁকালু বা শাক আলু বা শাখ আলু কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করবেন?

অর্থকরী কন্দ ফসল হিসাবে শাঁকালু ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের উস্থাবনের ফলে উৎপাদন যথেষ্ট বেড়েছে। ফলে চাষের আয় বেশ বাড়ছে চাহিদার সাথে সাথে।

 জাত: উচ্চ ফলনশীল জাত আর. এন , এল-১৯, এছাড়া দেশী জাতের চাষ হয়।

মেয়াদ: ১২০ দিন।

বোনার সময়: সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ।

জমি ও মাটি: উঁচু মাঝারি জমি দোঁয়াশ, বেলে-দোঁয়াশ মাটি পছন্দ। এটেল মাটিতেও ভালাে হয়। নােনা সহ্য করতে পারে।

সেচ: নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে মাটি অনুযায়ী সেচ দেওয়া দরকার।

সারি/গাছের দুরত্ব: সারির দূরত্ব ৩০ সেমি বা ফুট এবং সারিতে গাছের দূরত্ব ১৫ সেমি বা ইঞ্চি রাখা হয়। -.২৫ কেজি প্রতি বিঘায় (২০-২২ কেজি প্রতি হেক্টরে) বীজ লাগে।

সার: জৈব সার বিঘা প্রতি ১২০০-১৫০০ কেজি (১০ থেকে ১৫ টন হেক্টরে) সঙ্গে বিঘা প্রতি -১০ কেজি রাসায়নিক যৌগ সার (১০:২৬:২৬) দেওয়া যেতে পারে। 

উৎপাদন: বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ কুইন্টাল উৎপাদন হয়। উত্তর ২৪ পরগণার বাদুড়িয়া ব্লক এলাকায় জমিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দেশী জাতের শাঁকালু কাঠা প্রতি ১০০ কেজি পর্যন্ত উৎপন্ন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল (আর এন -, এল-১৯ ইত্যাদি) বিঘা প্রতি ৪০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন দিয়েছে। বােলপুবের আশপাশের গ্রামগুলিতে এর চাষ বাড়ছে। কাঠা প্রতি প্রায় মন অর্থাৎ ২৪০ কেজি (বিঘায় ৮কুইন্টাল) ফলছে।

রোগপকা: রােগের মধ্যে কান্ড বা কন্দ পচা (সফট রট) পাতা ধ্বসা রােগ দেখা যায়। এরােগ দেখা দেওয়া মাত্র ১০-১২ দিন অন্তর টাটকা গােবরের নির্য্যাস - বার স্প্রে করলে নিরাময় হয়। এছাড়া বিঘাপ্রতি ৩০০ গ্রাম টাইকোডারমা ভিরিডি নামে জীবাণুনাশক জৈবসারের সাথে মিশিয়ে শেষ চাষে মাটিতে মিশালে নিরাময় হয়।

মন্তব্য: শিল্পগােত্রীয় ফসল, কিন্তু শিকড়ে গুটি হয় না। জলনিকাশী ভাল থাকা দরকার। বীজ লাগানাের - দিনের মধ্যে অনুর বের হয়। ফুল আসার সময় পুস্প মঞ্জরী ভেঙ্গে দিতে হয়। অন্যথায় কন্দ উৎপাদন কমে যায়। বীজ বিষাক্ত। কাঁচা পাকা অবস্থায় বীজ খাওয়া নিষিদ্ধ। বীজ কীটনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কেশর আলু, শাখালু, শাখা আলু, শাক আলু, শাকালু


 

ওল বা ওলকচু কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করবেন?

কন্দ ফসলের মধ্যে ওল পুষ্টিকর অর্থকরী ফসল হিসাবে আলুর পরেই স্থান দখল করেছে। যেভাবে এর চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে- অচিরেই অবহেলিতফসল হিসাবে একে আর গণ্য করা যাবেনা। 'ফেমিন ফুড' অথবা দুর্ভিক্ষের খাবার হিসাবে মর্যাদায় ওল শ্রেষ্ঠ।

জাত: কাভুর , সি-, সি-, দক্ষিণ ভারতের উন্নত জাত। স্থানীয় ভালাে জাত সাঁতরাগাছি।

মেয়াদ:  মাস।

বোনার সময়: চৈত্র-বৈশাখ (এপ্রিল -মে) রাজ্যের শুকনাে পশ্চিমাঞ্চলে যেমন পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান মালদহ জেলার ঝাড়খন্ড সংলগ্ন শুকনাে ব্লকগুলিতে জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রথম বৃষ্টির সাথে সাথে লাগানাে ভাল।

জমি মাটি: উঁচু জমি বেলে দোঁয়াশ মাটিতেও ভাল হয়। জলনিকাশি ব্যবস্থা ভালাে থাকা দরকার।

সেচ: এপ্রিল মাসে লাগালে বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত ১০ দিন অন্তর হালকা সেচ দেওয়া ভাল।

সারি গাছের দূরত্ব: সারি গাছের দূরত্ব ৭৫ সেমি বা . ফুট। মাদা করে লাগাতে হবে। গর্তের মাপ -. ঘন ফুট। অর্থাৎ ১৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য, প্রস্থ গভীর গর্ত করে কাটা মাটির অর্ধেক পরিমাণ জৈব সার দিয়ে মাদার মাটি তৈরি করতে হয়।

বীজের হার: প্রতি গর্তে ৫০০-৭০০ গ্রাম বীজ ওল বসাতে হবে। বীজের হার ৬০-৬২ কুইন্টাল প্রতি হেক্টরে বা ৮০০-১০০০ কেজি প্রতি বিঘায়।

সার: জৈব সার বেশি করে দিতে হবে। প্রতিটি গর্তে ২২.৫ কেজি গােবর সার, ২০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫ গ্রাম সুপার ফসফেট, ১৫ গ্রাম পটাশ সার দিলে ভাল হয়।

সাথি ফসল: ঢেড়শ, বরবটি, লাল শাক, অড়হর ইত্যাদি।

 উৎপাদন: ৫৫-৬৫ কুইন্টাল প্রতি বিঘায়। ৪০০-৫০০ কুইন্টাল প্রতি হেক্টরে।

রোগপোকা: রােগের মধ্যে কন্দ পচা (সফট্ রট) পাতা ধ্বসা রােগ সাধারণত দেখা যায়। এরােগ দেখা দেওয়া মাত্র ১০-১২ দিন অন্তর টাটকা গোবরের নির্ধ্যাস - বার স্প্রে করলে নিরাময় হয়। এছাড়া বিঘাপ্রতি ৩০০ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি নামক জীবাণুনাশক জৈবসারের সাথে মিশিয়ে শেষ চাষে মাটিতে মিশালে নিরাময় হয়।

মন্তব্য: পরিচর্যা খুব কম লাগে। ৬০-৮০ দিন পর ওল গাছের গােড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে। বীচনের জন্য ওল চাষ করলে ১৫০ গ্রাম কাটা ওল গােবর জলে ডুবিয়ে ফুট অন্তর লাগাতে হবে। ওলের সজাগ বাড়স্ত অগ্রমুকূল (চোখ) যেন প্রতি কাটা অংশে -২টি থাকে। - ইঞ্চির বেশী গভীরে বীচন লাগালে ফলন কমে যায়। দুই সারি ওলের মাঝে এক সারি অডহর, বরবটি, ঢেড়শ লাল শাক সাথি ফসল হিসাবে চাষ করে বাড়তি ফলন পাওয়া যায়। বীচন ওল লাগানাের পর খড় বা শুকনাে পাতা দিয়ে আচ্ছাদন দেওয়া ভালাে। জলনিকাশি ব্যবস্থা ভালাে থাকা দরকার।

ওল বা ওলকচু

Featured Post

ব্রয়লার মুরগি কীভাবে তৈরি করা হয়?

উত্তর:  এটি একপ্রকার সংকর জাতের মুরগি। করনিস জাতের পুরুষ মুরগির সঙ্গে সাদা প্লিমাউথ রক জাতের স্ত্রী মুরগির মিলনে ব্রয়লার মুরগি তৈরি করা হয়...

Popular Posts